ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

বশেমুরবিপ্রবির ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯
বশেমুরবিপ্রবির ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত  শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কিছু ছবি।

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বাবিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে চতুর্থ দিনের মত বিরতিহীন আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের মুখে গতকাল শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সে আদেশ না মেনে রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালেও আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন।

তবে ভীত হয়ে কিছু কিছু শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যেতে শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।  

এদিকে ক্যাম্পাসের বাইরে বিভিন্ন স্থানে শনিবার বহিরাগতদের হামলায় ২০ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা আবারও হামলার আশঙ্কায় রয়েছে। শিক্ষার্থীদের ওপর এমন হামলার ঘটনার প্রতিবাদে সহকারী প্রক্টর মো. হুমায়ূন কবীর পদত্যাগ করেন।

পরিস্থিতি উত্তাল থাকায় ক্যাম্পাসসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে হল ত্যাগ না করে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. মো. বশির উদ্দীনের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা আগের মতোই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চালানো হলেও তারা আমাদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে ইইই বিভাগের ডিন প্রফেসর ড. আব্দুর রহিমকে প্রধান, আইন বিভাগের ডিন আব্দুল কুদ্দুছ মিয়াকে সদস্য সচিব ও ড. সামচুল আরেফিনকে সদস্য করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে হল ছাড়ার অফিস আদেশ থাকলেও শিক্ষার্থীরা কিন্তু হলে অবস্থান করছেন। আসলে আমরা তাদের রাগাতে চাই না। একটা শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থান চাই আমরা।

তবে সর্বশেষ খবর অনুযায়ী আন্দোলনকারী শিক্ষার্র্থীদের মধ্যে অনেকেই আবারও হামলার আশঙ্কায় ভীত সন্ত্রস্ত্র হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে গেছেন। যারা ক্যাম্পাসের বাইরে ছিলেন তারাও অনেকে যার যার গ্রামের বাড়িতে চলে যাচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫২, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।