ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

স্বাধীন সাংবাদিকতার দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
স্বাধীন সাংবাদিকতার দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন মানববন্ধন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকরা, ছবি: বাংলানিউজ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) কর্মরত সাংবাদিক ফাতেমা তুজ জিনিয়াকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও হয়রানির ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি ও ক্যাম্পাসগুলোতে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাংবাদিকরা।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অমর একুশ’ ভাস্কর্যের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আশিকুর রহমান, ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দিদার, ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সদস্য রাকিবুল রনি ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আদিব আরিফ।

মানববন্ধনে জাবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মাহমুদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জনগণের টাকায় চলা প্রতিষ্ঠান। এখানে যেসব ব্যক্তিদের প্রশাসক হিসেবে রাষ্ট্র নিয়োগ দেয়, তারা যদি বিশ্ববিদ্যালয়কে তাদের পৈত্রিক সম্পদ মনে করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কথা না শুনেন, ইচ্ছেমতো বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে চান, তাহলে বাংলাদেশের মতো একটি স্বাধীন দেশে স্বৈরাচারী উপাচার্যদের জায়গা নেই।

সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করার জন্য সারা দেশের ক্যাম্পাসগুলোতে যে ধরনের আয়োজন চলছে, সেটা যেমন সাংবাদিকরা মেনে নেবেন না, তেমনি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও মেনে নেবেন না।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু মুসা বলেন, আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চাই। দেশের প্রত্যেকটা নাগরিক সংবিধানে উল্লিখিত অধিকার ভোগ করবে, সে দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্যের এমন আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। গোপালগঞ্জের মতো পবিত্র ভূমিতে স্বৈরাচারী এই উপাচার্যকে আর এক মুহূর্ত দেখতে চাই না।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সহ সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীর সঙ্গে বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্যের এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো স্থানে এ ধরনের অবিচার এবং স্বৈরাচারী আচরণ প্রত্যাশিত নয়। বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। জিনিয়ার সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্টদের নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।

জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আশিকুর রহমান বলেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসকদের স্বৈরাচারী মনোভাব, শিক্ষার্থী সংক্রান্ত তাদের যে ভাবনা, তা আমাদের উদ্বেগের মধ্যে ফেলে দেয়। আমরা এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় চাইনি। বাংলাদেশে মুক্ত বুদ্ধিচর্চার জায়গা বিশ্ববিদ্যালয়, রাষ্ট্রের বিবেক বিশ্ববিদ্যালয়। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসকের বক্তব্য কখনও এমন নগ্ন হতে পারে না। আমরা বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্যের এমন আচরণের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দিদার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় জনগণের ক্যান্টনমেন্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনৈতিক কাজ হলে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো সবার দায়িত্ব। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ অন্যায়ভাবে শিক্ষার্থী বহিষ্কার করা নয়। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন মত প্রকাশের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে কর্তৃপক্ষ। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।