ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে আইইউবির সঙ্গে ইউটিএর সিম্পোজিয়াম

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৯
উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে আইইউবির সঙ্গে ইউটিএর সিম্পোজিয়াম

ঢাকা: উচ্চশিক্ষার বিষয়ে ধারণা বর্তমানে আমূল বদলে যেতে শুরু করেছে। জ্ঞান সৃষ্টির ধারাটি বর্তমানে নতুন মোড় নিচ্ছে। কিভাবে শিক্ষাগ্রহণ পদ্ধতিকে উপযুক্ত করা যায় এবং যথাযথ ও কার্যকর জ্ঞান সৃষ্টির নিয়ামক- নতুন এ ধারাটিই উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করছে। 

সম্প্রতি রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত সিম্পোজিয়ামে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস আর্লিংটনের (ইউটিএ) প্রেসিডেন্ট ড. ভিসতাসপ এম কারভারী এসব কথা বলেন।

ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রথাগত ক্লাসরুমের বাইরে গিয়ে শিক্ষাদান, দীর্ঘস্থায়ী শিক্ষা ব্যবস্থা, শিক্ষার্থীদের উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের উন্নয়ন সাধন এবং সমাজের কাজ করা একটি ভালোমানের বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ বলে মনে করেন ভিসতাসপ কারভারী।

একইসঙ্গে তিনি জোর দেন, শিক্ষার্থীর শিক্ষাগ্রহণের দক্ষতার ওপর যেন তারা সঠিক ক্যারিয়ার বেছে নিতে পারে, যেন সে বিশ্বকে সাহায্য করতে পারে, সমাজে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে, নেতৃত্ব দেওয়ার গুণ লাভ করে এবং উদ্ভাবনী গবেষণায় নিয়োজিত থাকতে পারে যা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য বর্তমান প্রজন্মকে যথাযথভাবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় ইসিটি বিভাগের তৈরি ‘বাংলাদেশ এগিয়ে চলো’ শিরোনামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ভিডিও প্রদর্শন করেন তিনি।  

প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে তিনটি বিষয়ে প্রস্তাবনা করেন। ১. সরকারের আইসিটি, আইইউবি এবং ইউটিএর মধ্যে ত্রি-পক্ষীয় চুক্তি। ২. বড় পরিসরে অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন। ৩. উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বিদেশে যাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা যেন ফিরে এসে এদেশেই কাজে নিয়োজিত হতে পারে, সেরূপ কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করা।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন- ইউটিএর ভাইস প্রভোস্ট ড. প্রাণেস অশ্বথ, আইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান এ মতিন চৌধুরী, আইইউবির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক মিলান পাগন।  

এ মতিন চৌধুরী নিত্য-নতুন বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ওপর জোর দেন। যেন সেই নতুন সুযোগ অন্যরা আগেই গ্রহণ করতে না পারে।

মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহযোগিতা কেন অপরিহার্য তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন অধ্যাপক মিলান পাগন।  

তিনি বলেন, মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিৎ শিল্পের চাহিদা সম্পন্ন যোগ্য ব্যক্তি গড়ে তোলা। যেন সে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে গিয়ে সমাজকে সহায়তা করতে পারে।

সেমিনারে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন ইউটিএর অ্যালামনাই মুস্তাক আহমেদ।  

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, আইইউবির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, দেশের প্রখ্যাত স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষক ও গবেষক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই সংগঠনের নেতা, আইইউবির ডিন, শিক্ষক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অন্যান্য অতিথি এবং বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী।

ইউটিএ প্রতিনিধিদল আইইউবিতে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিন ৫ সেপ্টেম্বর আইইউবির ট্রাস্টি বোর্ড এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। দ্বি-পাক্ষিক ওই বৈঠকে একটি নতুন শিক্ষা পদ্ধতিসহ ইউটিএ ও আইইউবির সহযোগিতার মাধ্যমে দেশে এবং বিদেশে উচ্চশিক্ষার গুণগতমান বাড়ানো নিয়ে বেশ কয়েকটি বিষয়ে একমত হন। যেন সেগুলো চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণভাবে এগিয়ে যেতে সহায়ক হয়।

আইইউবির ট্রাস্টি, ইউটিএর প্রেসিডেন্ট ড. ভিসতাসপ এম কারভারী, ইউটিএর ভাইস প্রভোস্ট ড. প্রাণেস অশ্বথ, আইইউবির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক মিলান পাগন, ডিন, সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এরপর ইউটিএ প্রতিনিধিদল আইইউবির বিভিন্ন স্কুল, গবেষণাগার, লাইব্রেরি, সেন্টার ঘুরে দেখেন এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।  

আইইউবি বর্তমানে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর ত্রি-পাক্ষিক চুক্তি সম্পাদনের আয়োজন করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৯
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।