ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

ভর্তি ফরমের মূল্য বাড়ানোর প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৯
ভর্তি ফরমের মূল্য বাড়ানোর প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ বিক্ষোভ মিছিলে জাবির শিক্ষার্থীরা। ছবি: বাংলানিউজ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০১৯-২০ সেশনের স্নাতক (সম্মান) ভর্তি ফরমের মূল্য বাড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের জাবি শাখা।

বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার নেতারা।

সংহতি জানিয়ে সমাবেশে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আশিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা দেখেছি শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায় করছে। আবার সেই টাকা দিয়েই তারা এসি গাড়িতে চলাফেরা করেন। আর শিক্ষার্থীরা ভাঙা গাড়িতে চলাচল করছে। গ্রামের একজন কৃষকের গরু, জমি বেচা টাকা দিয়ে তাদের সন্তানদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর জন্য ফরম তুলেন। আর সেই টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়ে যায়। এর থেকে লজ্জার আর কিছু থাকতে পারে না। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। ’

সমাবেশে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ জাবি শাখার আহ্বায়ক শাকিল উজ্জামান বলেন, ‘ভর্তি ফরমের মূল্য বাড়ানোর ফলে ভর্তিচ্ছু দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো সংকটে পড়ে। শিক্ষকদের এ ভাগ বাটোয়ারার ফলে যেমন দরিদ্র শিক্ষার্থীদের প্রতি শোষণ অন্যদিকে শিক্ষকদের ভোগ বিলাসের মাত্রা বাড়াচ্ছে। আমি স্পষ্ট বলে দিতে চাই এ বছরে যে অতিরিক্ত ভর্তির টাকা আদায় করা হচ্ছে তা যেন ভাগ বাটোয়ারা না করে বিশ্ববিদ্যালয় খাতে ব্যয় করা হয়। আর আগামীতে যেন কোনো অতিরিক্ত ভর্তি ফি না নেওয়া হয়। ’

সমাবেশে জাবি শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক জয়নাল আবেদী শিশির বলেন, ‘মানবিকের একজন শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হলে ২৪০০ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দিতে হচ্ছে। শুধু এ খরচ নয় অন্যান্য খরচ মিলিয়ে একজন শিক্ষার্থীর ছয় থেকে সাত হাজার টাকা খরচ হয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষার ফরম বিক্রি বাবদ আয়ের ৪০ শতাংশ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের জন্য তহবিলে রাখতে বলা হয়েছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উদ্বৃত্ত নয় কোটি টাকা নিজেরাই ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়, এটা স্পষ্ট ডাকাতি। ’

উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ সেশনে প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার অনলাইন আবেদনে বিসিডি এবং ‘ই’ ইউনিটের ভর্তির ফরমের মূল্য গত বছরের চেয়ে ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ‘সি-১, এফ, জি, এইচ এবং আই’ ইউনিটের ভর্তি ফরমের মূল্যও ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ আগস্ট ২১, ২০১৯
আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।