ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষণে এগিয়ে আসার আহ্বান

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১৯
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষণে এগিয়ে আসার আহ্বান ছাত্র সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা চর্চা ও সংরক্ষণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সৌরভ শিকদার।

আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় আয়োজিত ছাত্র সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের সময় তিনি এ আহ্বান জানান। ছাত্রসমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ।

এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোবাইদা নাসরিন, আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, তথ্য ও প্রচার সম্পাদক দীপায়ন খীসা, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন প্রিন্স, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল মোতালেব জোয়েল।

আদিবাসী ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের সভাপতি সুলভ চাকমা সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক অলিক মৃ সঞ্চালনা করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল হাজং।

আদিবাসীরদের উদ্দেশে সৌরভ শিকদার বলেন, ভাষা চর্চার বিষয়ে আপনারাও সচেতন হবেন। রাষ্ট্র সহযোগিতা করবে। গবেষকরা কাজ করবে। আপনাদের ক্ষেত্র প্রসারিত করতে হবে। তাহলেই এবছরের মূল প্রতিপাদ্য ভাষা এবং সংস্কৃতি সংরক্ষণের আহ্বান নিয়ে আমরা কাজ করতে পারবো।

তিনি বলেন, আমরা দেখি প্রতিদিন পৃথিবী থেকে অনেক ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীর ছয় হাজার ভাষার মধ্যে আগামী ৫০ বছর পর কয়টি ভাষা টিকে থাকবে বলা কঠিন। আমরা প্রত্যেকে চেষ্টা করবো যার যার ভাষা এবং সংস্কৃতিকে রক্ষার জন্য। বাংলাদেশ রাষ্ট্র মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে, সেই রাষ্ট্রে অন্য ভাষাভাষী মানুষ তাদের ভাষা, সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলবে সেটা হতে পারে না। এ আহ্বান আমরা রাষ্ট্রের কাছে করবো। আমরা সবাই আদিবাসী সংস্কৃতি রক্ষার জন্য একযোগে কাজ করবো।

বাদল হাজং বলেন, আদিবাসীদের ভাষা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া না হলে আগামীতে এ জনগোষ্ঠীর অস্তিত্ব টিকে থাকবে না। এসডিজি বাস্তবায়নের যে মানসম্মত শিক্ষার কথা বলা হয়েছে তা পূরণ করার জন্য আদিবাসীদের মাতৃভাষায় শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। আদিবাসীদের জন্য পৃথক শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন না করলে কোনো উন্নয়নই টেকসই হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৯
এসকেবি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।