ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

প্রথমদিনই ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ পেলেন বিডিইউ শিক্ষার্থীরা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৯
প্রথমদিনই ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ পেলেন বিডিইউ শিক্ষার্থীরা

ঢাকা: বিশ্বের ১২টিরও বেশি ভাষায় অনূদিত জাতির জনকের লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ দিয়ে নিজেদের পাঠ শুরু করেছেন দেশের প্রথম বিশেষায়িত ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির (বিডিইউ) শিক্ষার্থীরা।

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে ক্লাস শুরুর আগে শিক্ষার্থীদের হাতে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ তুলে দেন বিডিইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. মুনাজ আহমেদ নূর।  

একই সঙ্গে সোমবার (২৯ জুলাই) ক্লাস শুরুর দিন প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের হাতে বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘কারাগারের রোজনামচা’, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ওপর অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদের লেখা ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পুনর্পাঠ’ বইটিও শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন তিনি।

 

উপাচার্য ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, যার জন্ম না হলে আমরা এই বাংলাদেশ পেতাম না। সেই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস ও তার জীবনদর্শন সম্পর্কে তরুণদের উজ্জীবিত করতেই আমাদের এ উদ্যোগ। আশা করি শিক্ষার্থীরা এ থেকে বেশ লাভবান হবেন।  

প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. নূর বলেন, বঙ্গবন্ধুবাংলার মানুষের অধিকার আদায় ও মুক্তির জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। এদেশের মানুষকে উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশ নামক স্বাধীন ও সার্বভৌম ভূ-খণ্ড।  

‘বইগুলোতে আমাদের শিক্ষার্থীরা জাতির পিতাকে পূর্ণাঙ্গভাবে জানতে পারবে। পাশাপাশি তার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে নিজেদের সু-নাগরিক গড়ে তুলতে পারবে। কারণ তারাই তো আগামীর বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়বে। ’ 

এদিকে শিক্ষাবর্ষ শুরুর দিনই প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে একটি করে গিফট বক্স দিয়েছে বিডিইউ। এই বক্সে রয়েছে একটি সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর, ৩২ জিবি পেনড্রাইভ, ডিজিটাল আইডি কার্ড, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ডোমেইনে ই-মেইল আইডি, একটি করে ভার্চুয়াল মেশিন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাউড সার্ভারে প্রতিজনের জন্য ২০০ জিবি হোস্টিং সুবিধা।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম জানান, ডিজিটাল আইডি কার্ড দিয়ে শিক্ষার্থীরা অনলাইন পেমেন্ট, যাতায়াত সুবিধা, ক্লাস উপস্থিতি, ক্যান্টিনের খরচসহ সব ধরনের আর্থিক লেনদেন অনলাইনে করতে পারবেন।

আর ২০০ জিবি হোস্টিংয়ের মাধ্যমে নিজেদের ওয়েবসাইটসহ যাবতীয় ডিজিটাল কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) মো. আশরাফ উদ্দিন, সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট মুহাম্মদ শাহীনূল কবীর, আইওটি বিভাগের প্রভাষক নূরজাহান নিপা, আইসিটি ইন এডুকেশন বিভাগের প্রভাষক মুনিরা আক্তার লতা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৯
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।