ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

বড় স্বপ্ন দেখা শিখতে হবে, সাফল্য আসবেই: ড. সামসুদ্দিন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৯
বড় স্বপ্ন দেখা শিখতে হবে, সাফল্য আসবেই: ড. সামসুদ্দিন

ঢাকা: ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে বড় স্বপ্ন দেখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ। 

তিনি বলেছেন, জীবনে সফল হতে হলে বড় স্বপ্ন দেখতে হবে। পাশাপাশি প্রচুর লেখাপড়া করতে হবে।

বিশ্বে যত মানুষই সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছেন তাদের স্বপ্ন ছিল অনেক বড় হওয়া। তাই তোমাদেরও একমাত্র স্বপ্ন দেখতে হবে সাফল্যের । এজন্য লেখাপড়া করে নিজেকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে।  

শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে ড. সামসুদ্দিন এসব কথা বলেন।  

কলেজের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল কাজী শরীফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজ সেবক ও ব্যাংকার শামীমা আক্তার।  

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, তোমরা স্কুল পেরিয়ে নতুন জায়গায় (কলেজ) এসেছো। এটাই ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে প্রাথমিকভাবে প্রস্তুত করার সময়। তাই এখান থেকেই স্বপ্ন দেখতে হবে, তা বাস্তবায়ন করা শিখতে হবে। শুধু পুঁথিগত বিদ্যা নয়, সব বিষয়েই জ্ঞান থাকতে হবে।  

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা।  ছবি: বাংলানিউজ‘আমরা অনেকেই মনে করি স্বপ্ন মানেই একটি নিছক কল্পনামাত্র। কিন্তু আসলে তা নয়, স্বপ্ন মানেই বাস্তব, স্বপ্ন মানেই গন্তব্য। আমি কোথায় যেতে চাই-তার নাম স্বপ্ন। মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। আর বাস্তব স্বপ্ন ও তার পেছনে পরিশ্রম কখনই ব্যর্থ হয় না। কারণ স্বপ্নকে বিশ্বাসে রূপান্তরিত করতে পারলে তা অর্জন করাও সম্ভব হয়। ’

তিনি বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছেন। তা বাস্তবায়নে তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তারই প্রচেষ্টায় বিভিন্ন খাতে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের জীবন-মানের পরিবর্তন ঘটেছে।

‘এক্ষেত্রে নতুন প্রজন্ম-তোমরা যারা আজকের শিক্ষার্থী; ভবিষ্যতে তারাই দেশকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরবে। তাই সুপরিকল্পিত স্বপ্নের মাধ্যমে কঠোর পরিশ্রম করে সাফল্যের শিখরে উঠতে হবে। তোমাদের সার্বজনীন জ্ঞানের অধিকারী হতে হবে। ’

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য প্রফেসর ড. সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, নিজেদের ইতিহাস জানতে হবে। সাতচল্লিশ (১৯৪৭) থেকে একাত্তর (১৯৭১) এবং কিভাবে আমরা স্বাধীনতা পেলাম? এখানে কাদের অবদান রয়েছে? এসব বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান থাকতে হবে। আর এই তাগিদটা এখন থেকেই থাকা উচিৎ।  

একই সঙ্গে ইংরেজির দুর্বলতা কাটাতে নিজ উদ্যোগেই চর্চা বাড়ানোর পক্ষে মতে দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের এ জ্যেষ্ঠ শিক্ষক।  

তিনি বলেন, আগে জানার সুযোগ ছিল কম, কিন্তু শিক্ষার্থীদের পড়ার আগ্রহ ছিল বেশি। কিন্তু হাল আমলে বিশ্ব হাতের মুঠোয়। তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পড়ার আগ্রহ কম! নিজেকে সমৃদ্ধ করতে নিজ থেকেই তথ্য প্রযুক্তিকে ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করে এগিয়ে যেতে হবে। খেলাধুলাসহ সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও নিজেদের সম্পৃক্ত করতে হবে।  

বশেফমুবিপ্রবির কথা উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন বলেন, জামালপুরে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আধুনিক ও যুগোপযোগী উচ্চ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ার চেষ্টা করছি। সেভাবেই পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। আমি স্বপ্ন দেখি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েরা একদিন দেশে-বিদেশে নেতৃত্ব দেবে।  

আগামীতে সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি।  

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আয়োজক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপাধ্যক্ষ জহিরুল ইসলামসহ শিক্ষক ও অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৯
এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।