ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

শিক্ষকদের আন্দোলন চলছে ৩৮ দিন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৯
শিক্ষকদের আন্দোলন চলছে ৩৮ দিন অনশনরত শিক্ষকেরা/ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: গত ১৬ জুন থেকে চার হাজারের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের দাবিতে ‘বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির’ ব্যানারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন শিক্ষকরা। টানা ৩৮ দিনের অনশনে ইতোমধ্যে একজন শিক্ষকের মৃত্যুসহ ২৫৯ জন অসুস্থ হয়েছেন। এছাড়া মারাত্মক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রয়েছেন ১০ জন। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের আশ্বাস না পাওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আ স ম জাফর ইকবাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেন।

এতে বলা হয়, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের পাশের ফুটপাতে ৩৮ দিন যাবৎ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি আমরা।

তবে এখনও আমরা কোনো সুখবর পাইনি। ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। ওই সময় ২৬ হাজার ১৯৩ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিসংখ্যান করা হয়েছিল। তার সংখ্যা যথাযথ না হওয়ায় জাতীয়করণযোগ্য আরও ৪ হাজার ১৫৯টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ থেকে বঞ্চিত হয়। আর সেই জাতীয়করণের দাবিতে ৩৮ দিন ধরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছি আমরা।

সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বদরুল আমিন সরকার ফরহাদ বলেন, আমরা আমাদের সন্তানদের পড়ালেখার খরচ ও ভালো পোশাক কিনে দিতে পারি না। বাবা-মা অসুস্থ হলে চিকিৎসার খরচ যোগাতে পারি না। মানবেতর জীবনের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতেই কেবল আমরা মানবতার জননী যিনি ২৬ হাজার ১৯৩টি বিদ্যালয়ের ১ লাখ চার হাজার ৭৭২ জন শিক্ষকের মুখে অন্ন তুলে দিয়েছেন। যিনি ৭ লাখ রোহিঙ্গাকে বুকে টেনে নিয়েছেন। যিনি নিজ অর্থে পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। তার দূরদর্শিতায় আজ মধ্যমআয়ের এই দেশে ৫ লাখ কোটি টাকা বাজেট ঘোষণায় আধুনিক বাংলার স্বপ্ন দেখাতে আমাদের প্রেরণা যোগায়।

কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা সম্পাদিকা লীলা রানী বলেন, ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চামেলী হলে বলেন, ২০১২ সালের ২৭ মের আগে বিদ্যালয়ের নামে দলিল সৃজন করেছেন ও পাঠদানের জন্য আবেদন করেছেন সেগুলো জাতীয়করণের আওতায় আনা হবে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণে এ বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বাদপড়া বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।  

মো. মামুনুর রশীদ খোকনের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত আছেন, মহাসচিব কামাল হোসেন, সংগঠনের নেতা মোখলেছুর রহমান মানিক, শামসুল হক, রফিকুল ইসলাম, আতিকুর রহমান, আফরোজা আক্তার, সেলিম মিয়া, লিটন হোসেন, মনির হোসেন, মো. কামরুল, মহসিন উদ্দিন, আ. হক, বাবুল আখতার, মজিবর রহমান, শরিফা খাতুন, নাজমা আক্তার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৯
এমএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad