ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

রাজশাহীতে পাসের হারে মেয়েরা, জিপিএ ৫-এ ছেলেরা এগিয়ে 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
রাজশাহীতে পাসের হারে মেয়েরা, জিপিএ ৫-এ ছেলেরা এগিয়ে  ফলাফলে উচ্ছ্বসিত রাজশাহীর শিক্ষার্থীরা। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হারে মেয়েরা ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে ছেলেরা এগিয়ে আছে। বোর্ডটিতে এ বছর পাসের হার ৭৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৭২৯ জন শিক্ষার্থী।   

বুধবার (১৭ জুলাই) প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, রাজশাহীতে ছেলেদের পাসের হার ৭২ দশমিক ৩২ শতাংশ। মেয়েদের পাসের হার ৮১ দশমিক ২ শতাংশ।

 

ছেলেরা জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৫৪১ জন। মেয়েরা জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ১৮৮ জন।

এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অংশ নিয়েছিল মোট ১ লাখ ৫১ হাজার ১৩৪ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে সব বিষয়ে পাস করেছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৫০ জন। গড় পাসের হার ৭৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনারুল হক প্রামাণিক জানান, এ শিক্ষা বোর্ডের ৭৫৮টি কলেজের মধ্যে এবার শতভাগ পাস করেছে ৩৪টি কলেজে। সাতটি কলেজ থেকে কেউই পাস করতে পারেনি।

তিনি বলেন, বিগত বছরের তুলনায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে এবার সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এদের মধ্যে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৫০ জন পাস করেছে। বরাবরের মতো এবারও পাসের হারে এগিয়ে আছে মেয়েরা। তবে জিপিএ-৫ পাওয়ায় ছেলেরাই এগিয়ে।

গতবারের তুলনা এবার অকৃতকার্যের সংখ্যা কমেছে। এবছর ২৬ হাজার ৮২৮ জন শিক্ষার্থী এক বিষয়ে ফেল করেছে, যা মোট পরীক্ষার্থীর ১৮ দশমিক ০৫ শতাংশ। গত বছর এ পরীক্ষায় ফেল করেছিল ৩৫ হাজার ৩৭ জন।

এ বছর ২২ জন দৃষ্টি প্রতিবন্দ্বী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে, ১৮ জনই পাস করেছে। এদের মধ্যে এক জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ বছর শারীরিক প্রতিবন্দ্বী পরীক্ষার্থী ছিল ১৯ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে এক জন। কারাবন্দি অবস্থায় চার জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে এক জন শিক্ষার্থী।

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে গত বছর পাসের হার ছিল ৬৬ দশমিক ৫১ শতাংশ। এ বছর তা ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৭ সালে পাসের হার ছিল ৭১ দশমিক ৩০ শতাংশ, ২০১৬ সালে ৭৫ দশমিক ৪০ শতাংশ, ২০১৫ সালে ৭৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ, ২০১৪ সালে ৭৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ ও ২০১৩ সালে ৭৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
এসএস/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।