ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

দীর্ঘমেয়াদে শিক্ষার মান নিয়ে সমস্যায় পড়বে বাংলাদেশ

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০০ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৯
দীর্ঘমেয়াদে শিক্ষার মান নিয়ে সমস্যায় পড়বে বাংলাদেশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দের কারণে দীর্ঘমেয়াদে শিক্ষার মান নিয়ে সমস্যায় পড়বে বাংলাদেশ- এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসির বিশেষজ্ঞরা।

রোববার (৩০ জুন) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তারা এ অভিমত প্রকাশ করেন।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে সভার উদ্বোধক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

সম্মানীয় অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।  

এতে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ। তিনি বলেন, আমরা এখন আর্থিক খাত নিয়ে সমস্যায় থাকলেও দীর্ঘমেয়াদে শিক্ষার মান নিয়ে সমস্যায় পড়বো। কারণ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চলমান যুগে যে পরিমাণ দক্ষ ও সৃজনশীল জনবল প্রয়োজন হবে আমরা তা গড়ে তুলছি না।  

‘অথচ, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে এমন দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি করা যারা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জনে নিজ নিজ দেশের জন্য সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারবে। ’

ড. এম আবু ইউসুফ বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অন্যান্য লক্ষ্যসমূহ একে অপরের সঙ্গে এমনভাবে সংযুক্ত যে উচ্চশিক্ষা ও দক্ষ মানবসম্পদ এর দ্বারাই এ লক্ষ্যসমূহ অর্জন করা সম্ভব।
 
বাজেটে উচ্চশিক্ষা খাতটি সবচেয়ে অমনোযোগিতার ক্ষেত্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় বাজেটের আকার যে হারে বাড়ছে সে হারে শিক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দের শতাংশ হার বাড়ছে না। এজন্য প্রযুক্তি বা অন্য কিছুর সঙ্গে নয়, বরং আলাদা শিক্ষা বাজেট দিতে হবে।
 
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে আগের থেকে ধারাবাহিকভাবে বাজেটের অঙ্ক বাড়ছে। এটা আশাব্যাঞ্জক। আমি বিশ্বাস করি এটা অব্যাহত থাকলে আমরা এগিয়ে যেতে পারবো।  

‘বাজেটে আমরা কাঠামোগত পদ্ধতির মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছি। যদি এর পরিবর্তন আনতে হয় তাহলে নীতি-নির্ধারণী বা পলিসিতে পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের কিছু সাহসী পদক্ষেপ নিতে হবে,’ বলেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৯
এসকেবি/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।