ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

‘যত উন্নয়ন হচ্ছে তত বৈষম্য বাড়ছে’

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০১ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৯
‘যত উন্নয়ন হচ্ছে তত বৈষম্য বাড়ছে’ বক্তব্য রাখছেন আনু মুহাম্মদ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য বরাদ্দ ৩২ হাজার কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে এক লাখ কোটি টাকারও বেশি করা হয়েছে। অথচ এ প্রকল্পের শুরু থেকেই অনিয়মের অভিযোগ ছিল। বাংলাদেশের প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যয় যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীনের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। অথচ মানের দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে। ফলে এই প্রকল্পগুলোর দুর্নীতির টাকা যাচ্ছে ধনীদের পকেটে।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আয়োজনে ‘বাজেট ২০১৯-২০: কতটা উন্নয়নের কতটা বৈষম্যের’ শীর্ষক আলোচনা সভায় একথা বলেন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

বুধবার (২৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের ১১৯ নম্বর কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।


 
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে খেলাপিঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। অথচ অর্থ মন্ত্রণালয় প্রকাশিত ঋণখেলাপিদের তালিকা নেই প্রধান ঋণখেলাপিদের নাম। নির্দিষ্ট শর্তে ঋণখেলাপিদের পার পাওয়ার সুযোগ দিচ্ছে সরকার। ফলে খেলাপিঋণের বোঝা গিয়ে পড়ছে জনগণের কাঁধে। এটাও বৈষম্য বাড়িয়ে দিচ্ছে।
 
তিনি আরো বলেন, অপ্রদর্শিত বা কালোটাকাও সমাজে বৈষম্য সৃষ্টির অন্যতম একটি কারণ। যাদের টাকা যত বেশি তাদের প্রত্যক্ষকর তত কম। কারণ ধনী ব্যক্তিদের প্রকৃত অর্থের হিসাব প্রকাশ্যে আসছে না। ফলে তাদের প্রত্যক্ষকর কমে যাচ্ছে। সে কারণে বাড়ছে পরোক্ষকর। যার জন্য ভুক্তভোগী হচ্ছে সাধারণ জনগণ। এতে সাধারণ জনগণের সঙ্গে ধনীদের বৈষম্য বাড়ছে।
 
জাবি ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি সুষ্মিতা মরিয়মের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইমরান হাবিব রুমন বলেন, এই উপমহাদেশে শিক্ষা ও গবেষণাখাতে সবচেয়ে কম বরাদ্দ দেওয়া হয় বাংলাদেশে। গবেষণায় বরাদ্দ এতোটাই কম যে এতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৯
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।