ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

বেকারত্বের কারণে শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ কমছে

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫২ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৯
বেকারত্বের কারণে শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ কমছে বক্তব্য রাখছেন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বেকারত্বের কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার বিষয়ে আগ্রহ কমে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

শুক্রবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের ক্যাফেটেরিয়াতে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ও করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় এবং ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিটিভির মহাপরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হারুন-অর-রশীদ এবং সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আফতাব উদ্দিন মানিক। এছাড়া অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. লুৎফুর রহমান প্রমুখ।

অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাসরুমের শিক্ষা এবং শিক্ষকদের গবেষণা- এই দু’টি জিনিসই খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি গবেষণা না করি তাহলে কি জ্ঞান সরবরাহ করবো? কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও তার মূল কাজ হচ্ছে শিক্ষাদান। এই শিক্ষাদানের বিষয়টি যদি আমরা দেখি তাহলে আমার নিজের অভিজ্ঞতা হলো সমস্যাটা অনেক। শিক্ষার্থীদের শিক্ষার ব্যাপারে আগ্রহ কমেছে। এটা খুব জরুরি। কেবল শিক্ষা দিলে হবে না, দেখতে হবে যে ছেলেমেয়েরা সেই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে কিনা।

তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারের হার যেভাবে বাড়ছে সেটা শিক্ষার্থীদের শিক্ষার ব্যাপারে আগ্রহী করে না। দেখা যাবে শিক্ষার্থীরা সিভিল সার্ভিস প্রতিযোগিতা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ব্যস্ত থাকে। তার কারণ হচ্ছে তার জন্যে চাকরি খুব জরুরি।  

এসময় তিনি শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি কিউএস র‌্যাংকিং নামে একটি জরিপ প্রকাশিত হয়েছে। দুটো বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান আছে যারা এই র‌্যাংকিং করে। একটি টাইমস হায়ার এডুকেশন আরেকটি কিউএস র‌্যাংকিং। কিউএস র‌্যাংকিং সমীক্ষা দেখিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ার মধ্যে ১২৭তম অবস্থানে। হায়ার এডুকেশন দেখিয়েছে ৪১৭টির মধ্যে নেই। এই র‌্যাংকিংগুলো কোন মানদণ্ডে হয় সেটা নিয়ে অনেক বিতর্ক থাকবে। কিন্তু একটি বিতর্কের বিষয় বলা যায় কিউএস র‌্যাংকিং আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

‘গতকাল লন্ডনভিত্তিক কিউএসের একজন প্রতিনিধি আমাদের সঙ্গে কথা বললেন, আমরা যদি তথ্য দেই তাহলে তারা আমলে নিয়ে আমাদের মূল্যায়ন করবেন। তাহলে মানেটা হলো এরকম যে আমাদের তথ্যগুলো/ডাটাগুলো তাদের কাছে নেই। এবং সেগুলো তাদের কাছে উপস্থাপিত হলে এই বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাংকিংয়ে আওতাভুক্ত হবে। ’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রায়হানুল ইসলাম আবির এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাহদী আল মুহতাসিম নিবিড়। অনুষ্ঠানের শুরুতে ডাকসু নেতা, ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আলোচনার বিষয়বস্তুর ওপর প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন সাংবাদিক সমিতির সভাপতি।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৮  ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৯
এসকেবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।