ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২২ সিদ্ধান্ত

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২২ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৯
এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২২ সিদ্ধান্ত বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: আসন্ন উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে ২২টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সোমবার (২৫ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পরীক্ষা সংক্রান্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি।

সিদ্ধান্তগুলো হলো-এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস রোধে আগামী পহেলা এপ্রিল থেকে ২৬ মে পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে সব পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে, অনিবার্য কারণে কেউ দেরি করলে গেটের সামনে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে, পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব ব্যতীত অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।  

এছাড়া পরীক্ষা চালাকালীন ও এর আগে-পরে পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কাজের সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ও পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ব্যতীত অন্যদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে, কোনো শিক্ষক বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কেউ পরীক্ষার সময় বেআইনি কাজ করলে সে প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ দোষীদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, ট্রেজারি বা থানা থেকে প্রশ্ন কেন্দ্রে পৌঁছানের জন্য দূরত্ব অনুযায়ী বেশি সময় আগে প্রশ্ন বিরতণ না করে প্রয়োজনীয় সময় নির্ধারণ করে প্রশ্নপত্র বিতরণ করতে হবে।

যদি কোনো মোবাইল নম্বরে একাধিকবার একই অঙ্কের টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করা হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট এজেন্টকে নিকটস্থ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানাতে হবে ও অনিবার্য কারণে পরীক্ষা শুরু করতে দেরি হলে প্রশ্নে উল্লিখিত নির্ধারিত সময় শিক্ষার্থীদের দিতে বলা হয়েছে।  

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত গুজব কিংবা এ কাজে তৎপর চক্রগুলোর কার্যক্রমের বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো নজরদারি জোরদারি করবে, প্রশ্নফাঁস কিংবা শিক্ষার্থীদের কাছে উত্তর সরবরাহে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জেলা প্রশাসন কঠোরভাবে আইনত ব্যবস্থা নেবে।

পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রের মধ্যে ২০০ গজের মধ্যে শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারীদের মোবাইল ফোনের সুবিধাসহ ঘড়ি, কলমসহ ইলেট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে, যদি কেউ এ নির্দেশনা অমান্য করে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নের সেট কোড ঘোষণা করা হবে। সেই অনূযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ কর্মকর্তার স্বাক্ষরের পর প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলতে হবে।

এছাড়াও প্রশ্নপত্র ছাপানোর সঙ্গে সম্পৃক্ত বিজি প্রেসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তার আগে জেলা ট্রেজারিতে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে প্রশ্নপত্র সর্টিং করতে হবে ও দিনভিত্তিক একই সেটের সব প্রশ্ন একটি বড় খামে প্যাকেটজাত করে নিরাপত্তা টেপ লাগাতে হবে। ট্রেজারিতে রক্ষিত প্রশ্নপত্র পরীক্ষার শুরুর তিনদিন আগে দিনভিত্তিক ও সেটভিত্তিক সর্টিং করে সিকিউরিটি খামে সংরক্ষণ করতে হবে। বোর্ডগুলো যথাসময়ে বড় খাম ও সিকিউরিটি টেপসহ আনুষঙ্গিক প্রয়োজনীয় জিনিস জেলা প্রশাসকদের সরবরাহ করবে। প্রত্যেক কেন্দ্রের অভ্যন্তরে একটি ফটোকপি মেশিন রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বোর্ড কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশনা প্রদান করতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৯
জিসিজি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।