ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

ডাকসু নির্বাচন: রোকেয়া-মৈত্রী বাদে ১৬ হলে ভোটগ্রহণ শেষ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৯
ডাকসু নির্বাচন: রোকেয়া-মৈত্রী বাদে ১৬ হলে ভোটগ্রহণ শেষ ডাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ-ছবি-ডি এইচ বাদল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে: দুইটি হল বাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। সোমবার (১১ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ হলে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে ১৬ হলের ভোটগ্রহণ চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত।

এদিকে বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল ও রোকেয়া হলে অনিয়মের অভিযোগ উঠে সাময়িকভাবে ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। এ দু'টি হলে পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

 

এরপরেই ফলাফল প্রকাশ করা হবে। মোট ভোটার রয়েছে ৪৩ হাজার ২৫৬ জন।

এদিকে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ছাত্রলীগ ছাড়া বেশিরভাগ প্যানেলই নির্বাচন বর্জন করেছে। পাশাপাশি মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ধর্মঘটের ঘোষণাও দিয়েছেন তারা।

দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী লিটন নন্দীসহ চার প্যানেলের নেতারা।

দীর্ঘ ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।  ১৯৯০ সালের জুলাই মাসে শেষবার ব্যালট হাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন শিক্ষার্থীরা।

দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা ডাকসু নির্বাচনের প্রেক্ষাপট তৈরি হয় ২০১২ সালে ২৫ শিক্ষার্থীর করা রিটের উপর ভিত্তি করে। সে সময় শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চ থেকে নিয়মিত কর্মসূচি পালন করা হয়। এরপরে আবার থমকে যায় ডাকসু নির্বাচনের আওয়াজ। পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি ছাড়া উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। নির্বাচন চেয়ে সমাজকল্যাণ বিভাগের ওয়ালীদ আশরাফ অনশন করেন।

২০১৮ সালের ১৭ জানুয়ারি আদালত ৬ মাসের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্বাচনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপিল আদালত সেটি গ্রহণ না করলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভা ২০১৯ মার্চের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঠিক করে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তফসিল প্রকাশ করে।

১৯২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) সৃষ্টি হয়। মোট ৩৬ বার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডাকসুর প্রথম ভিপি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন যথাক্রমে মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও যোগেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত। সর্বশেষ ১৯৯০ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে ১৯৯০-৯১ সেশনের জন্য ভিপি ও জিএস পদে যথাক্রমে নির্বাচিত হন ছাত্রদলের আমানউল্লাহ আমান ও খায়রুল কবির খোকন। এরপর আর ডাকসু নির্বাচন হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৯
পিএম/এমএএম/এসকেবি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।