ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

হল সংসদে স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরকে নির্যাতনের অভিযোগ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১৯
 হল সংসদে স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরকে নির্যাতনের অভিযোগ মাহবুবুর রহমান সাজিদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা চাপ প্রয়োগ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদপ্রার্থী মাহবুবুর রহমান সাজিদকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী মাহবুব অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার (১মার্চ) রাত ৯টার দিকে ছাত্রলীগ প্যানেলের সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোস্তফা সরকার মিসাদ, মুজাহিদ, আরিফ, অনিকসহ পাঁচ থেকে সাতজন তাকে অমর একুশে বইমেলা থেকে ধরে আনে।

পরে হলের ১১১ নম্বর কক্ষে আটকে রেখে তাকে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করে।  

এসময় তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে রাজি হন। শনিবার সকাল ১০টার দিকে তাকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার সম্পর্কে একটি দরখাস্ত লিখতে বলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে হল অফিসে নিয়ে সেখান থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রত্যাহার করার ফরম গ্রহণ না করে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার নির্যাতনের ঘটনায় অভিযোগ দিতে বলেছেন বলে জানান সাজিদ।  

অভিযুক্ত মোস্তফা সরকার মিসাস মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহবুবুল আলম জোয়ার্দারের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।

এছাড়া হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলসহ বেশ কয়েকটি হলে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে না নিলে পরবর্তীতে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা। এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে মোবাইলে কল দেওয়া হলেও, কলটি রিসিভ করা হয়নি।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্যাতন, চাপ প্রয়োগ ও হুমকি দিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ডাকসুর স্বতন্ত্র সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এআরএম আসিফুর রহমান। শনিবার (২মার্চ) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও ডাকসুর সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন তিনি। একইসাথে ভোট গ্রহণের সময়সীমা সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বাড়ানোর দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

ডাকসু নির্বাচনের আচরণবিধির ৯ (গ) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা ভোটারকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন, বলপ্রয়োগ ও ভোটদানে বাধাগ্রস্ত করতে পারবেন না। ’ কারো বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আসলে তাকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা জরিমানা, প্রার্থিতা বাতিল ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হবে।

বাংলাদেশ সময় ২৩৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৯

এসকেবি/এসআইএস


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।