ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

‘র‌্যাগিং শিক্ষা-সংস্কৃতির সঙ্গে বেমানান’

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯
‘র‌্যাগিং শিক্ষা-সংস্কৃতির সঙ্গে বেমানান’ শোভাযাত্রা, ছবি: বাংলানিউজ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: র‌্যাগিং শিক্ষা-সংস্কৃতির ও মানবিক চরিত্রের সঙ্গে বেমানান বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী(ইউজিসি) কমিশনের সদস্য অধ্যাপক এম শাহ্ নওয়াজ আলি।

সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাবিতে র‌্যাগিং বন্ধে সচেতনতা বাড়াতে শোভাযাত্রার উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমরা ভালো বিষয়গুলো গ্রহণ আর খারাপ বিষয়গুলো বর্জন করো।

বাংলাদেশে সব মানুষ আমরা একই পরিবারের অন্তভুক্ত। গ্রাম থেকে একজন বাবা কত কষ্ট করে তার সন্তানকে এই বিদ্যাপিঠে পাঠিয়েছেন। তিনি যদি জানতে পারেন এখানে তার সন্তান র‌্যাগিংয়ে নামের নির্যাতনে শিকার হচ্ছে। তখন তিনি কি স্বাভাবিক থাকতে পারবেন?

র‌্যাগিং বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুমের পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে বিজনেজ অনুষদের সামনে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।

এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (শিক্ষা)  অধ্যাপক নুরুল আলম, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. আমির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, লাইব্রেবির পরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ হানিফ আলী, ছাত্র কল্যাণ ও পরামর্শ দান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক রাশেদা আখতার, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক বশির আহমেদ, প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন, অধ্যাপক মজিবর রহমান, অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফি, জাবির ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি জুয়েল রানাসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

শোভাযাত্রা শুরুর আগে চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে কালো ব্যাচ ধারণ করে এক মিনিটি নিরবতা পালন করা হয়। একইসঙ্গে দোয়ার মাধ্যমে নিহতের মাগফিরাত কামনা করা হয়।

শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, আমাদের কিছু সীমাবন্ধতা থাকার কারণে বর্তমানে সব শিক্ষার্থীকে হলে সিট দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমাদের যে উন্নয়ন বাজেট এসেছে তাতে হল নির্মাণ করা হবে। আমরা আশা করছি, দেড় বছরের মধ্যে সিট সমস্যার সমাধান হবে ও একটি সুন্দর পরিবেশ পাবো। যা র‌্যাগিং বন্ধে অনেককাংশে ভূমিকা পালন করবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় হল প্রভোস্ট, প্রক্টরিয়াল বডির ও প্রশাসনের নম্বর দেওয়া হয়েছে। কেউ র‌্যাগিংয়ের শিকার হলে এসব নম্বরে ফোন দিলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা সবার সহযোগিতা পেলে র‌্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাস উপহার দিতে পারবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।