ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

সাম্প্রদায়িক মানুষ পশুর সমান: নওফেল

জবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯
সাম্প্রদায়িক মানুষ পশুর সমান: নওফেল বক্তব্য রাখছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, সাম্প্রদায়িক মানুষ পশুর সমান। বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। এখানে কোনো ধর্মীয় গোঁড়ামি স্থান পাবে না।

বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ‘সরস্বতী পূজা ২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।  

তিনি বলেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলে এ ধরনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের ঐতিহ্য।

এখন আমরা ভ্রাতৃত্বের মনোভাব নিয়ে সব ধর্মীয় উৎসবে সবাই মিলে পালন করতে পারছি। কিন্তু ২০০১-২০০৬ সালে দেশ বিপথে চলে গিয়েছিল। সেই বিপথ আর বিপদ থেকে উন্নয়নের মহাসড়কে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের ফলে।

শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক সারাজীবন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার চেষ্টায় নিয়োজিত ছিলেন। হানাহানি বাদ দিয়ে আমরা পরবর্তী প্রজন্মকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে যেতে পারি, বিদ্যা-জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতি বাস্তবায়ন করতে পারি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, বাঙালি ও বাঙালিত্ব অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখতে সব ধর্মের মানুষকে এ ধরনের অনুষ্ঠানগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্তমান সময়ে ধর্মীয় সহিষ্ণুতা বৃদ্ধি পেয়েছে সব ধর্মের মানুষের মধ্যে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় পূজা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. প্রিয়ব্রত পালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মো. সেলিম ভূঁইয়া, জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নুর মোহাম্মদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. অরুন কুমার গোস্বামী।

এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর সমবেত সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। আলোচনা শেষে নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি ও বাঁশি বাজানোসহ বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।  

এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯
কেডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।