ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

ছাত্রীকে কুপ্রস্তাবের অভিযোগে পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৯
ছাত্রীকে কুপ্রস্তাবের অভিযোগে পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা

লালমনিরহাট: পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাইয়ে দেওয়ার অজুহাতে স্কুলছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়েছেন এমন অভিযোগে লমনিরহাটের কালীগঞ্জ অরণ্য স্কুল অ্যান্ড কলেজ ডে নাইট কেয়ারের পরিচালকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গেটের সামনে বিক্ষোভ করে। পরে রাতে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ওই স্কুলছাত্রীর বাবা।

থানায় দায়ের করা এজাহার সূত্র জানা যায়, উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের চাকলারহাটের অরণ্য স্কুল অ্যান্ড কলেজ ডে নাইট কেয়ারে আবাসিক-অনাবাসিক শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের আবাসিকের এক ছাত্রীকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি নিজ কক্ষে ডেকে নেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আঞ্জুরুল হক সরকার মিন্টু (৪৮)। এসময় পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে ওই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেন পরিচালক মিন্টু। শুধু তাই নয়, শ্লীলতাহানির চেষ্টা করলে তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে বেঁচে যায় ওই ছাত্রী।

ওই দিনই সহপাঠীরা মেয়েটির বাবাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে বিষয়টি অবগত করে। ওই ছাত্রীর বাবা বিষয়টির বিচার দাবি করে শিক্ষকদের কাছে মৌখিক অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু কোনো বিচার পাননি। বিষয়টি ব্যাপক জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী বিচার দাবিতে বিদ্যালয় গেটে বিক্ষোভ মিছিল করে। খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

পরে এ ঘটনায় পরিচালকের বিচার দাবি করে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ওই রাতে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।  

শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভিকটিমের বাবা মামলার বাদী বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, চরিত্রহীন পরিচালক মিন্টু এর আগেও কয়েকবার ছাত্রীদের সঙ্গে যৌন হয়রানি করে টাকার জোরে বেঁচে গেছেন।

এ ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকায় পরিচালক আঞ্জুরুল হক সরকার মিন্টুকে প্রতিষ্ঠানে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ রয়েছে।

কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, কুপ্রস্তাবের শিকার ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারের দায়ের করা এজাহারটি তদন্ত করে নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামি মিন্টুকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।