ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

ইবির আইন বিভাগে সান্ধ্যকালীন শিক্ষার্থীদের তালা

ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৯
ইবির আইন বিভাগে সান্ধ্যকালীন শিক্ষার্থীদের তালা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ছবি: বাংলানিউজ

ইবি: বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সান্ধ্যকালীন এলএলবি প্রোগ্রামের নিবন্ধনের দাবিতে আইন বিভাগে তালা দিয়ে আন্দোলন করেছে চলামান সান্ধ্যকালীন প্রোগ্রাম কোর্সের শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষা বর্জন করে। 

শুক্রবার (১লা ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিভাগে তালা দিয়ে আন্দোলন শুরু করে তারা। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিভাগের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা চলে যান।

 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে সান্ধ্যকালীন এলএলবি প্রোগ্রামের নিবন্ধন না থাকায় বার কাউন্সিলের পরীক্ষার আবেদন করতে পারছেন না তারা। বার কাউন্সিলের নিবন্ধন না নিয়েই বিভাগে সান্ধ্যকালীন এলএলবি প্রোগ্রাম চালুর নামে ব্যবসা করেছেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।  

এ বিষয়ে আন্দোনকরী বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, ‘দুই বছর মেয়াদী সান্ধ্যকালীন এলএলবি কোর্স শেষ করে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে পরীক্ষার আবেদন করতে গেলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইভনিং প্রোগ্রাম (এলএলবি) এর কোন নিবন্ধন নেই বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। বার কাউন্সিল থেকে আমাদের এটাও জানায় যে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকবার চিঠি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অথবা আইন বিভাগের পক্ষ থেকে চিঠির কোনো জবাব দেয়া হয়নি। ’    

সান্ধ্যকালীন কোর্স চালুর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও বিষয়টি নিয়ে সুরাহা না হওয়ায় শুক্রবার পরীক্ষা বর্জন করে বিভাগে তালা লাগিয়ে আন্দোলন করতে থাকে শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে একটি প্রতিনিধি দল বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।  

এরপর বিষয়টি নিয়ে শনিবার (০২ ফেব্রুয়ারি)  বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বসার আশ্বাস দেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. জহুরুল ইসলাম।  এছাড়া আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি বার কাউন্সিলের সাধারণ সভায় বিষয়টি উত্থাপনের কথা বলেন তিনি।  

এ বিষয়ে আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজ্জাদুর রহমান টিটু বাংলানিউজকে বলেন, ‘বার কাউন্সিল থেকে আমাদের কাছে চিঠি পাঠালে আমরা সব কাগজপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারের মাধ্যমে তাদের কাছে পাঠাই। তারপরও কেন নিবন্ধন পেল না বিষয়টি আমাদের ভাবিয়ে তুলছে। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি বার কাউন্সিলের সাধারণ সভায় আমাদের বিভাগের পক্ষ থেকে এ বিষয়টি উত্থাপন করা হবে। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আমরা নিবন্ধন পেয়ে যাবো। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।