ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

দুই বিভাগ এক করার দাবিতে আমরণ অনশনে রাবি শিক্ষার্থীরা

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৮
দুই বিভাগ এক করার দাবিতে আমরণ অনশনে রাবি শিক্ষার্থীরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ছবি-বাংলানিউজ

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (এপিইই) বিভাগকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে আমরণ অনশন করছেন ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। 

সোমবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শুরু করা এ কর্মসূচি; দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।  

বিভাগের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, অনুষদের সভায় ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সঙ্গে একীভূত না করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

আমরা এ সিদ্ধান্ত বর্জন করছি।

তাদের অভিযোগ, বর্তমানে চাকরিতে আবেদনের জন্য এ বিভাগের কোনো কোড থাকে না। এজন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এপিইই বিভাগকে ইইই বিভাগের সঙ্গে একীভূত করা হয়েছে। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও বিভাগ দু’টি আলাদা রয়েছে। এর আগেও আমরা দাবি তুলেছিলাম। কিন্তু আমাদের আশ্বস্ত করলেও বিশ্ববিদ্যালয় কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

প্রসঙ্গত, গত ১১ নভেম্বর থেকে বিভাগ দু’টিকে একীভূত করার দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন এপিইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে বিভাগের শিক্ষকরা তাদের আশ্বস্ত করলে তারা কর্মসূচি স্থগিত করেন। অন্যদিকে ২০ নভেম্বর ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা দুই বিভাগকে একীভূত না করার দাবিতে পাল্টা আন্দোলনে নামেন। তারাও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন চালাচ্ছিলেন। এর মধ্যে গত ২৯ নভেম্বর বিষয়টি নিয়ে অনুষদ সদস্যরা আলোচনায় বসেন। কিন্তু সেখানে দুই বিভাগ একীভূত করার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এরপর ফের আন্দোলনে নামেন ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ সোমবার সন্ধ্যা থেকে তারা আমরণ অনশন পালন করছেন।

ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম নাহিদ বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে আমরা অনুষদের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু অনুষদ তা বাতিল করে দিয়েছে।

ইইই বিভাগের সভাপতি আবু জাফর মু. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, অনুষদের সিদ্ধান্তের পরও শিক্ষার্থীরা কেন আন্দোলন করছে তা আমার বোধগম্য নয়। এ ছাড়া আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি সেশনজটে পড়ার আশঙ্কাও বেড়ে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক একরামুল হামিদ বলেন, বিভাগ দু’টি এক করতে হলে দুই বিভাগেরই সম্মতি দরকার। সেটা না থাকায় ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগটি নিজ নামেই থাকছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৮
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।