ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

রাবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে দলীয় নেতাকর্মীদের মারধর

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৮
রাবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে দলীয় নেতাকর্মীদের মারধর তারেক আহমেদ খান শান্তকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিচ্ছেন অন্য শিক্ষার্থীরা। ছবি-বাংলানিউজ

রাবি: ভর্তি জালিয়াতির ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক তারেক আহমেদ খান শান্তকে মারধর করেছেন।

সোমবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে তারেকের পায়ে গুরুতর জখম হয়।

তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মারধরের শিকার তারেক বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। হামলাকারীদের মধ্যে রাবি ছাত্রলীগের উপ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক হাসিবুল হাসান শান্ত, সহ-সম্পাদক কাউসার ইসলাম রয়েছেন।  

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে খেতে আসেন তারেক। এ সময় চারুকলায় আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন কাউসার। তারেককে দেখে তিনি ফোন করে শান্তসহ কয়েকজনকে চারুকলায় ডেকে আনেন। খাওয়া শেষ করে বের হলে তারেকের সঙ্গে কাউসার, শান্তসহ কয়েকজনের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় কাঠের ফালি দিয়ে তারেককে পিটিয়ে আহত করেন তারা। পিটুনিতে তারেকের বাম পায়ের মাংস থেতলে যায়। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা তারেককে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ভুক্তভোগী তারেক অভিযোগ করে বলেন, দুপুরে আমি চারুকলায় খাওয়া শেষ করে বের হতেই শান্ত ও কাউসারসহ প্রায় ১৫ জন আমাকে ঘিরে ধরে। ফোনে ভর্তি জালিয়াতির বিষয়ে কেন আমাদের নাম বলেছিস-এ কথা জিজ্ঞেস করেই আমাকে মারধর করতে শুরু করে শান্ত। এরপর কাউসারসহ আরো প্রায় ১৫ জন মিলে আমাকে আঘাত করতে থাকে। আমাকে কোনো কথা বলার সুযোগই দেয়নি ওরা।  

তবে শান্ত ও কাউসার দু’জনেই মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তারা বলেন, আমরা চারুকলায় তারেককে দেখতে পেয়ে তাকে ডেকে প্রশ্নফাঁসের রেকর্ডিংয়ে আমাদের নাম কেন বলা হয়েছে তা জানতে চাই। কিন্তু তারেক আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। পরে তার সঙ্গে আমাদের বাক-বিতণ্ডা হয়। এ সময় তাকে আমরা দু’য়েকটি চড়-থাপ্পড় মেরেছি। লাঠি বা কাঠ দিয়ে কোনো আঘাত করিনি।  

এ ব্যাপারে জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়াকে পাওয়া যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ড. এস এম আসজাদ হাসান বলেন, তারেকের বা পায়ের মাংস থেতলে গেছে। আমরা তার এক্স-রে করেছি। তাকে রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।  

এর আগে, গত ১৪ অক্টোবর তারেক আহমেদ খানের ভর্তি জালিয়াতির ফোন রেকর্ডিং ফাঁস হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। তারেক অভিযোগ তুলেছেন, শান্ত ও কাউসার তাকে ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে এ ফোন রেকর্ডিং করে ফাঁস করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।