ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

মেডিকেলে ভর্তি হতে পারবেন দরিদ্র বাবার সন্তান জিয়াউর?

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৮
মেডিকেলে ভর্তি হতে পারবেন দরিদ্র বাবার সন্তান জিয়াউর?

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ছাপড়হাটী গ্রামের রিকশাচালক আলম মিয়ার ছেলে জিয়াউর রহমান জিয়া। মেধাবী এ ছাত্র এবার মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেলে কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু দরিদ্র ঘরের সন্তান জিয়াউরের মেডিকেলে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে টাকার অভাবে। 

এই অবস্থায় মেধাবী ছেলের মেডিকেল কলেজে ভর্তির টাকা জোগাড় করতে সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের সহযোগিতা চেয়েছেন রিকশাচালক বাবা আলম মিয়া।  

আলম মিয়া বাংলানিউজকে জানান, জিয়া ছোট কাল থেকেই মেধাবী।

তিনি পূর্ব ছাপড়হাটী গ্রামের একটি ব্র্যাক প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০০৯ সালে পিএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পান । একই উপজেলার ছাপড়হাটী এসসি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১২ সালে জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ- ৪.৭১ পেয়ে উত্তীর্ণ হন । পরে একই বিদ্যালয় থেকে ২০১৫ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন । এরপর ২০১৭ সালে গাইবান্ধা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে পাস করেন।  

এবার মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেধা তালিকায় ১৭৯০ নম্বর লাভ করেন মেধাবী জিয়াউর রহমান। তার জন্য প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত হয় শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ।

জিয়া দুই ভাইয়ের মধ্যে বড়। তার ছোট ভাই স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে।

জিয়াউরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমি প্রথমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে সুযোগ পাই। এরপর মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা দিলে সেখানেও চান্স হয় আমার। তবে ভেবেচিন্তে মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এমতাবস্থায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বাতিল ও মেডিকেলে ভর্তি হতে প্রায় ৩০ হাজার টাকার প্রয়োজন। আমার রিকশাচালক দরিদ্র বাবার পক্ষে এতো টাকা যোগাড় করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। সমাজের বিত্তবান ও ক্ষমতাশীল ব্যক্তিরা এগিয়ে এলে আমি মেডিকেলে ভর্তি হতে পারতাম।

সহযোগিতার হাত বাড়াতে জিয়াউর রহমান জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে ০১৭৫৭-৩৪৩৯ ৯৪ নম্বরে।

বাংলাদেশ সময়: ০৬২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৮
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।