ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

প্রযুক্তিগত উন্নয়নে কুয়েট অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮
প্রযুক্তিগত উন্নয়নে কুয়েট অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছে ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. এম. শাহ নওয়াজ আলিকে শুভেচ্ছা স্মারক দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন। ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: দেশের উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তিগত শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে কুয়েট অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছে। কুয়েটকে স্ব-মহিমায় উন্নীত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে।

শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ১৫তম বর্ষপূর্তির (বিশ্ববিদ্যালয় দিবস) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. এম. শাহ নওয়াজ আলি।

অনুষ্ঠনে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউজিসি’র সদস্য প্রফেসর ড. এম. শাহ্ নওয়াজ আলি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্যাপন কমিটির সভাপতি ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. কাজী হামিদুল বারী।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা রাখেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. কাজী হামিদুল বারী, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মহিউদ্দিন আহমাদ, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার এবং স্বাগত বক্তৃতা করেন পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া। শোভাযাত্রা।  ছবি: বাংলানিউজউদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন যথাক্রমে পাবলিক রিলেশনস অফিসার মনোজ কুমার মজুমদার এবং ইউআরপি বিভাগের প্রভাষক খন্দকার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ইকরাম।

দিনটিকে স্মরণীয় করতে সেজেছিল পুরো বিশ্ববিদ্যালয়, সর্বত্রই ছিল সাজ-সাজ রব। সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত হয় প্রীতি সমাবেশ। এরপর পৌনে ১০টায় জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সঙ্গে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা। পতাকা উত্তোলন শেষে প্রধান অতিথি বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের উদ্বোধন করেন।

এরপর সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, সাংবাদিক, আমন্ত্রিত অতিথিসহ বাহারি সাজে সজ্জিত হয়ে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও ফুলবাড়ীগেট এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে এসে শেষ হয়। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রজেক্ট ও পোস্টার প্রদর্শনী, টেকনিক্যাল পেপার প্রেজেন্টেশন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন ইউজিসি’র সদস্য প্রফেসর ড. এম. শাহ নওয়াজ আলি।

দুপুর পৌনে ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ‘দুর্বার বাংলা’চত্বরে প্রধান অতিথি গাছের চারা রোপণ করেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে দর্শনার্থীদের জন্য বিভিন্ন বিভাগের ল্যাবসমূহ উম্মুক্তকরণ, ছাত্র-শিক্ষক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, দোয়া মাহফিল এবং সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

২০০৩ সালের ০১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠা লাভ করে কুয়েট। এবছর ১৬তম বর্ষে পদার্পন করছে নবীন এ বিশ্ববিদ্যালয়টি। প্রতিবছর ১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত হলেও ঈদের ছুটির পরপরই দিবসটি থাকায় এবার দিবসটি উদযাপনের কর্মসূচি হয় ২২ সেপ্টেম্বর শনিবার।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা,  সেপ্টেম্বর ২২ , ২০১৮
এমআরএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।