ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

অ্যাকশনএইড-ডিইউডিএস জাতীয় বিতর্ক উৎসব শুরু

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮
অ্যাকশনএইড-ডিইউডিএস জাতীয় বিতর্ক উৎসব শুরু

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: গৃহস্থালি কাজের স্বীকৃতি, মূল্যায়ন ও পুনর্বণ্টনের লক্ষ্যে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে ‘অ্যাকশনএইড-ডিইউডিএস জাতীয় বিতর্ক উৎসব ২০১৮’। 

শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) কার্যালয়ে  এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বক্তব্য রাখেন অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের ম্যানেজার হেলাল উদ্দিন ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির (ডিইউডিএস) সভাপতি এস এম রাকিব সিরাজী।

‘গৃহস্থালি সেবামূলক কাজ’ বিষয়ের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা নিয়ে একটি ধারণা-পত্র তুলে ধরেন অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের ডেপুটি ম্যানেজার শরিফুল ইসলাম। ধারণা-পত্রে বলা হয়, বাংলাদেশে গৃহস্থালি কাজগুলোর মধ্যে পড়ে রান্না, সন্তান লালন-পালন, থালা-বাসন ধোয়া, কাপড় ধোয়া, ঘর-উঠান পরিষ্কার করা, জ্বালানি সংগ্রহ করা, পানি আনা, পরিবারের সদস্য-বৃদ্ধ বা অসুস্থ ব্যক্তিদের সেবা করা।  

শরিফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে একজন নারী তার জীবনের প্রায় ১২ বছর কাটিয়ে দেয় রান্নাঘরে। একজন নারী গৃহস্থালি সেবামূলক কাজে দৈনিক সময় দেন ৭.৭৭ ঘণ্টা এবং পুরুষরা দেন ১.৩২ ঘণ্টা। অধিকাংশ-ক্ষেত্রে একজন নারী এসব কাজের জন্য পারিবারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক মূল্যায়ন পান না। আর বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশের কোনো আইন বা নীতিতে গৃহস্থালি সেবামূলক কাজকে শ্রম হিসেবে গণ্য করা হয়নি। কোনো অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানে এ কাজের উল্লেখ নেই। রাষ্ট্রের প্রধান অর্থনৈতিক দলিল, বাজেট কিংবা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাপকাঠি জিডিপিতেও এর কোনো উল্লেখ বা স্বীকৃতি নেই।

অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের ম্যানেজার হেলাল উদ্দিন বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের নারীরা পুরুষের তুলনায় বেশি সময় ধরে ঘরের কাজ করছেন। এ কারণে নারীরা সময় সংকুলানের চাপে পড়ছেন। ফলে অর্থনৈতিক কাজে যুক্ত হওয়া সম্ভব হয় না তাদের। তারা মানসিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়েন। তাই এই বিষয়ে তৃণমূল থেকে শুরু করে সরকার পর্যন্ত সচেতনতা দরকার।

ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি এস এম রাকিব সিরাজী বলেন, ডিইউডিএস বিশ্বাস করে বাংলাদেশকে পরিবর্তন করতে হলে এদেশের বৈষম্য দূর কার প্রয়োজন। গৃহস্থালি কাজের স্বীকৃতির অভাব নারী-পুরুষ বৈষম্যের অন্যতম মূল কারণ। যুক্তিতর্কের মাধ্যমে এই বৈষম্য নিরসনের চেষ্টা করছি।

সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাসজুড়ে বিভিন্ন সময়ে দেশের আটটি বিভাগকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিক পর্যায়ের ৬টি অনুষ্ঠান হচ্ছে। ইতোমধ্যে খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানটি হয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এতে খুলনা বিভাগের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।  

আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর (সোমবার) ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত হবে ঢাকা বিভাগীয়/আঞ্চলিক পর্যায়। অনুষ্ঠানটি হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে। ক্রমান্বয়ে বরিশাল, রংপুর, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিজয়ী দলগুলোর সমন্বয়ে আয়োজিত হবে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮
এসকেবি/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।