ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

উচ্চশিক্ষার মান বৃদ্ধিতে হচ্ছে অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল আইন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৭
উচ্চশিক্ষার মান বৃদ্ধিতে হচ্ছে অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল আইন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ

ঢাকা: উচ্চশিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য ‘অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল আইন’ রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সংসদে উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এআইইউবি) ১৭তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টির উত্তরা ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত সমাবর্তনে বিভিন্ন অনুষদের ২ হাজার ৯৬০ জন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীকে সনদপত্র দেওয়া হয়।

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে আরো শক্তিশালী ও কার্যপোযোগী করার লক্ষ্যে উচ্চশিক্ষা কমিশন আইন তৈরি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। উচ্চশিক্ষার মান আরো বৃদ্ধির লক্ষ্যে অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল আইন প্রণয়ন চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। এ আইনটি আগামীকাল (রোববার) আমি অনুমোদনের জন্য জাতীয় সংসদে উত্থাপন করবো’।

বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন প্রকল্প (হেকেপ) ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উঁচুমানের গবেষণা পরিচালনার ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন আর্থিকভাবে দুর্বল ও দুর্দশাগ্রস্ত সকল গবেষণা  সংস্থা, ইনস্টিটিউট ও অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো শক্তিশালী করা এবং মৌলিক ও প্রায়োগিক গবেষণার জন্য উন্মুক্ত ও গবেষণা পরিচালনার মতো যোগ্য শিক্ষক মনোনয়নের সুযোগ থাকবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।

নাহিদ বলেন, ‘আমরা সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করি না। সকলেই আমাদের সন্তান। সকলের জন্য আমরা মানসম্মত শিক্ষা এবং সকল সুযোগ নিশ্চিত করতে চাই। কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখনো তাদের ন্যূনতম শর্ত পূরণ করতে পারেনি। এভাবে তারা বেশিদিন চলতে পারবে না’।

যে সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সফল হতে পারেনি, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার পরিবেশ ও নির্ধারিত শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। যারা মুনাফার লক্ষ্য নিয়ে চলতে চান, যারা নিজস্ব ক্যাম্পাসে এখনো যাননি, যারা একাধিক ক্যাম্পাসে পাঠদান পরিচালনা করছেন, তারা আইন অনুসারে সঠিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে না পারলে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধসহ তাদের বিরুদ্ধে অন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে’- যোগ করেন তিনি।

সনদপ্রাপ্তদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের জীবনের একটি অধ্যায় শেষ হলো, শুরু হলো আরেকটি অধ্যায়- কর্মজীবন। আপনারা হবেন সমাজ, দেশ ও জাতির আদর্শ, জাতি গঠনের শ্রেষ্ঠ কারিগর- আমি সে প্রত্যাশাই করি’।

সমাবর্তনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, এআইইউবি’র ভাইস চ্যান্সেলর  কারমেন জেড ল্যামাগনা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০  ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৭
এমএইচকে/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।