ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

হাবিপ্রবির নতুন উপাচার্য প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৭
হাবিপ্রবির নতুন উপাচার্য প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম

দিনাজপুর: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেমকে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে হাবিপ্রবি জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখা সহকারী পরিচালক মো. মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়।

মমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম ১৯৫৩ সালে বৃহত্তর রংপুর জেলার হাতীবান্ধা থানার বড়খাতা ইউনিয়নের আরাজী শেখ সুন্দর গ্রামে এক মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।

তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৪ সালে বি.এসসি. এজি. (অনার্স) ডিগ্রি ও ১৯৭৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিভাগ থেকে এমএসসি (এজি এক্সস্ট এড) ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি যুক্তরাজ্যোর রিডিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট-এ লেকচারার এবং ১৯৮১ সালে কৃষি সম্প্রসারণ ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৮৮ সালে তিনি সহযোগী অধ্যাপক এবং ১৯৯৩ সালে তিনি অধ্যাপক পদে যোগদান করেন।

১৯৭৯ সালে তিনি “সম্প্রসারণ শিক্ষা, প্রশাসন ও তদারক” বিষয়ের উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উইসকাসিন বিশ্ববিদ্যালয়ে গমন করেন। ১৯৯৭-৯৮ সালে তিনি জেএসপিএস ফেলোশিপ নিয়ে জাপানের হিরোশিমা ইউনির্ভাসিটিতে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা কর্ম সম্পাদন করেন।

বিশ্বব্যাংক, ব্রিটিশ কাউন্সিল, ডিএফআইডি (ইউকে), ওয়াল্ড-ফিশ সেন্টার, এএআইডিএ অস্ট্রেলিয়ার আর্থিক সহায়তায় ১৫টি গবেষণা প্রকল্পের মূল গবেষক হিসেবে গবেষণা সম্পাদনা করেন। মোট ১২ জন ছাত্র তার সরাসরি তত্ত্বাবধানে পিএইচডি ডিগ্রি ও ৫০ জন এর বেশি ছাত্র-ছাত্রী এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন।

আর্থ সামাজিক, যোগাযোগ, প্রশাসন, জেন্ডার ডেভেলপমেন্ট ও উচ্চ শিক্ষার মানোন্নয়ন বিষয়ে তিনি ১৫টি সংস্থায় কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগ এবং ভাষা বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ কেন্দ্র (বাউএক), কৃষি মিউজিয়াম, ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এ্যসুর্যান্স সেল (আইকিউএসি) এর পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।

সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, কনফারেন্স ও ওয়ার্কশপ ও অন্যান্য শিক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানী, জাপান, নেদারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, দক্ষিন কোরিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ তিনি ২৪টি দেশ ভ্রমণ করেছেন। দুইটি টেক্সট বই প্রকাশসহ আরো ৭টি সংকলিত বইয়ে তার লেখা প্রকাশিত হয়।

আন্তর্জাতিক জার্নালে ৩৪টি এবং দেশীয় জার্নালে তার ১৪৩টি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও তার ২৫টি গবেষণামূলক টেকনিক্যাল রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে এবং ৯টি পপুলার আর্টিকেল বাংলাদেশ অভজারভার ও ইনডিপেনডেন্ট পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ জার্নাল অব এক্সটেনশন এর এডিটর হিসেবে ৪ বছর ও প্রগ্রেসিভ এগ্রিকালচারিস্ট জার্নাল এর এডিটর হিসেবে ২ বছর দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ এক্সটেনশন সোসাইটির সভাপতি হিসেবে ৪ বছর দায়িত্ব পালন করেন। হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয়ে উপাচার্য হিসেবে যোগদানের আগে তিনি বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চশিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্পে (ঐঊছঊচ) কোয়ালিটি এ্যাসুর্যান্স স্পেশালিস্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।