ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

বিভাগ খোলা নিয়ে ইবিতে শিক্ষকদের হট্টগোল

ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৪
বিভাগ খোলা নিয়ে ইবিতে শিক্ষকদের হট্টগোল

ইবি: নতুন বিভাগ খোলা নিয়ে বির্তককে কেন্দ্র করে হট্টগোলের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) একাডেমিক কাউন্সিলের (এসি) ১০৫তম সভা।

রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে একাডেমিক কাউন্সিলের সভার দ্বিতীয় সেশনে এ হট্টগোল হয়।

অধিকাংশ শিক্ষকের বিরোধীতা সত্বেও উপাচার্য নতুন ১৫টি বিভাগ খোলার সিদ্ধান্ত নিলে শিক্ষকদের মধ্যে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।

বিকেল ৪টার দিকে সভার মুলতবি না করেই সভাকক্ষ ত্যাগ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার।

শিক্ষকদের মতামতকে উপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় মঙ্গলবার থেকে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন বিরোধিতাকারী শিক্ষকরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলায় কনফারেন্স রুমে ১৭টি এজেন্ডা নিয়ে শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের  ১০৫তম সভা।

সভায় নতুন ১৫টি বিভাগ খোলার প্রস্তাব উঠলে তার বিরোধিতা করেন উপস্থিত শিক্ষকদের একটি বড় অংশ। পরে, মধ্যাহ্ন বিরতি শেষে উপাচার্য শিক্ষকদের বিরোধিতা সত্বেও বিভাগগুলো পাস করলে সভা কক্ষে হট্টগোল শুরু হয়। এসময় উপাচার্য সভাকক্ষ ত্যাগ করে চলে গেলে আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকরাও সভাকক্ষ ত্যাগ করেন।

পরে, বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকরা সভাকক্ষে আধাঘণ্টা অবস্থান করে বের হয়ে যান এবং বিষয়টিকে অবৈধ দাবি করে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংবিধি-১৯৯০ এর ২৩ এর ১ ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন কোনো বিভাগ বা পদ সৃষ্টি করতে হলে একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত হওয়ার পরে তা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং আচার্যের কাছে অনুমোদিত হতে হবে। এরপর, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় তা পাশ হবে।

শনিবারের ১০৫তম সভায় নতুন করে ১৫টি বিভাগ খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় আইনের আগের ধাপ গুলো না মেনেই সরাসরি একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় পাশ করাকে অবৈধ বলে উল্লেখ করেছেন বিরোধিতাকারী শিক্ষকরা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রনীতি ও লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. সেলিম বাংলানিউজকে বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের শিক্ষকদের শতকরা ৭৫ভাগ শিক্ষকের মতামতকে উপেক্ষা করে ভিসি নিজের ইচ্ছামত সব পাশ বলে পেছনের দরজা দিয়ে চলে গেছেন। এছাড়া তিনি এই সব বিভাগ খোলার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের মতামত তো মানেন নি আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনও অমান্য করেছেন।

এদিকে ঘটনার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে। এছাড়া তিনি নিজের দফতরেও নেই বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।