ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

এসএসসিতে সিলেট বোর্ডের সেরা ২০

আব্দুল্লাহ আল নোমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৯ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৪
এসএসসিতে সিলেট বোর্ডের সেরা ২০

সিলেট: সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০১৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা, পাসের হার, জিপিএ-৫ ও প্রাপ্ত পয়েন্টের ভিত্তিতে সেরা ২০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করেছে সিলেট শিক্ষা বোর্ড।

তালিকায় সেরা ২০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সিলেট নগরী ও জেলার ১০টি, মৌলভীবাজার জেলার ৫টি, হবিগঞ্জ জেলার ৪টি এবং সুনামগঞ্জ জেলার একটি প্রতিষ্ঠান স্থান পেয়েছে।



এ তালিকায় এবারও প্রথমস্থান দখলে রেখেছে সিলেট ক্যাডেট কলেজ। প্রতিষ্ঠানটির ৫৩ জন পরীক্ষার্থীর সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্ত পয়েন্ট ৯১।

৮২ দশমিক ৭২ পয়েন্ট নিয়ে ২য় স্থানে উঠে এসেছে ২০১৩ সালে চতুর্থ স্থানে থাকা সিলেট ব্লু-বার্ড হাই স্কুল। এ বিদ্যালয়ের ২৯৯ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৯০ জন।

৩য় স্থানে রয়েছে জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ কলেজের ১৪৬ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০৯ জন। প্রাপ্ত পয়েন্ট ৮২ দশমিক ২১।

৮১ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ের ২৩৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৩৮জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪৬ জন।

৮০ দশমিক ৯২ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে সিলেটের স্কলারস হোম স্কুল অ্যান্ড কলেজ। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানটির ১০৬ জনের সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৯ জন।

সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৩৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২৫ জন। প্রাপ্ত পয়েন্ট ৭৯ দশমিক ৩৩।

হবিগঞ্জ সদরের বি কে জি সি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২০৫ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০২ জন। প্রাপ্ত পয়েন্ট ৭৭ দশমিক ৮৭।

সিলেটের বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২৩৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০২ জন। এ প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্ত পয়েন্ট ৭৫ দশমিক ৭৩।

হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৮৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৮২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৯ জন। প্রাপ্ত পয়েন্ট ৭৫ দশমিক ৫৯।

দ্যা বার্ডস রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ শ্রীমঙ্গল এর প্রাপ্ত পয়েন্ট ৭৫ দশমিক ৫১। এ স্কুল থেকে ১৩১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ১২৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৮ জন।

জালালাবাদ ক্যানটনমেন্ট বোর্ড হাই স্কুলের ৭৬ জন শিক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩১ জন। প্রাপ্ত পয়েন্ট ৭১ দশমিক ৯৩।

মৌলভীবাজারের দ্যা ফ্লাওয়ার্স কেজি অ্যান্ড হাই স্কুল থেকে অংশ নেওয়া ৮২ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২ জন। প্রাপ্ত পয়েন্ট ৭০ দশমিক ২৪।

মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২২২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২১৫ জন। এর মধ্যে ৬৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ বিদ্যালয়ের প্রাপ্ত পয়েন্ট ৬৯ দশমিক ৭৩।

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার গোবিন্দপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাপ্ত পয়েন্ট ৬৯ দশমিক ৬৪। এ বিদ্যালয় থেকে ১৬৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ১৬১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৪ জন।

সিলেটের আল-আমিন জামেয়া ইসলামীয়া রয়েছে ১৫ তম স্থানে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে অংশ নেওয়া ১৩৯ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪০ জন। প্রাপ্ত পয়েন্ট ৬৯ দশমিক ৪৬।

সুনামগঞ্জের সরকারি এস সি গার্লস হাই স্কুল থেকে অংশ নেওয়া ১৯১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৮৭ জন। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭ জন। প্রতিষ্ঠানটির প্রাপ্ত পয়েন্ট ৬৮।

রাজনগর আইডিয়াল হাই স্কুল থেকে ৭৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪ জন। প্রাপ্ত পয়েন্ট ৬৭ দশমিক ৭৬।

শায়েস্তাগঞ্জ ইসলামীয়া একাডেমি থেকে পরীক্ষায় ‍অংশ নেওয়া ৯৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৯৮ জন। এ প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্ত পয়েন্ট ৬৭ দশমিক ৩১। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৩ জন।

মৌলভীবাজারের আলী আমজদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৮৫ জন। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৩ জন। এ প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্ত পয়েন্ট ৬৬ দশমিক ৬৯।

সর্বশেষ ২০তম স্থানে আছে সিলেট পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটি থেকে অংশ নেওয়া ১৪২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ১ জন পরীক্ষার্থী ফেল করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৩ জন। প্রাপ্ত পয়েন্ট ৬৬ দশমিক ৩৭।

** সিলেটে সেরা ক্যাডেট কলেজ

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।