ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

যশোর বোর্ডে রেকর্ড সংখ্যক শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২২ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৪
যশোর বোর্ডে রেকর্ড সংখ্যক শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ

যশোর: চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে এ যাবতকালের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক ছাত্রছাত্রী কৃতকার্য হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যাও।

তবে সামান্য কমেছে মোট পাসের হার।

এবার এই বোর্ড থেকে ১ লাখ ২৯ হাজার ১৮৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। পাসের হার ৯২ দশমিক ১৯ ভাগ। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৯৪৪ জন শিক্ষার্থী। স্মরণকালের মধ্যে এটিই যশোর বোর্ডের শ্রেষ্ঠ ফলাফল।

শনিবার এসএসসি’র ফল প্রকাশের পর এ চিত্র উঠে এসেছে।

গত বছর এ বোর্ড থেকে ১ লাখ ১৮ হাজার ২৯৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ ৯ হাজার ৫৫৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছিল। পাসের হার ছিল ৯২ দশমিক ৬২ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৯ হাজার ৮৬ জন শিক্ষার্থী।

যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড সূত্র জানায়, চলতি বছর যশোর বোর্ডে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা ১ম বারের মতো ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। এ বছর এ সংখ্যা ১০ হাজার ৯৪৪। গতবছরও যশোর বোর্ডে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা রেকর্ড ছাড়িয়ে ৯ হাজার ৮৬ জনে দাঁড়িয়েছিল। ২০১২ জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৮২৫।

অবশ্য এর আগের দু’বছর এ সংখ্যা ছিল ৭ হাজারের ওপরে। ২০১১ জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৭ হাজার ৩৭৩ জন শিক্ষার্থী এবং ২০১০ সালে ৭ হাজার ৩৯৯ জন শিক্ষার্থী।

সূত্র মতে, এবছর যশোর বোর্ডে তাক লাগানোর মতো ফলাফল করেছে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এই বিভাগ থেকে ২৩ হাজার ১৪৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ২২ হাজার ২২১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ হাজার ১৬১ জন। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে ছেলেরা।

সর্বোচ্চ এ ফল অজর্নকারীদের মধ্যে ৫ হাজার ৫ জন ছাত্র ও ৩ হাজার ১৫৬ জন ছাত্রী। এই বিভাগে পাসের হার ৯৫ দশমিক ৯৫ ভাগ। গতবছর এই বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৫৯৭ জন। এ বিভাগে জিপিএ-৫ প্রাপ্তি বাড়লেও পাসের হার সামান্য কমেছে। গত বছর পাসের হার ছিল ৯৬ দশমিক ৬৬ ভাগ।

ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৪০ হাজার ৭৬২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩৮ হাজার ৯৯১ জন। পাসের হার ৯৫ দশমিক ৬৬ ভাগ। গতবছর এ হার ছিল ৯৪ দশমিক ৯৪। এই বিভাগ থেকে এবছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ২৯১ জন। গতবছর এ সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৪৭ জন। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এ বিভাগে ছাত্রীরা এগিয়ে রয়েছে। ১ হাজার ৩১৩ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেলেও ছাত্রের সংখ্যা ৯৭৮।

এছাড়া মানবিক বিভাগ থেকে ৬৫ হাজার ২৭২ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৫৭ হাজার ৮৯৫ জন। পাসের হার ৮৮ দশমিক ৭০ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৯২ জন। এই বিভাগে ৩৪২ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেলেও ছাত্রদের মধ্যে পেয়েছে ১৫০ জন। গতবছর এই বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪৪২ জন। আর পাসের হার ছিল ৮৯ দশমিক ৯২ ভাগ।

যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড’র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মোহাম্মদ আবু দাউদ বাংলানিউজকে জানান, যশোর বোর্ডের ফলাফল গত বছরের মতো এবারও ভালো হয়েছে। ভালো ফলাফলের এই কৃতিত্ব’র পুরোটাই শিক্ষার্থীদের উল্লেখ করে তিনি বলেন, সৃজনশীল পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে সহায়ক হয়েছে।

এছাড়া ডিজিটালাইজড পদ্ধতির কারণে পরীক্ষা কার্যক্রমের অনেক প্রক্রিয়া এখন ওয়েবসাইটে অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। ফলে শিক্ষকরা বোর্ডে যাতায়াতের পরিবর্তে অনেক সময় নিয়ে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করতে পারছেন। আর তথ্যপ্রযুক্তির কারণে অভিভাবক-শিক্ষক যোগাযোগও অনেক সুদৃঢ় হয়েছে।

ফলে অভিভাবক ও শিক্ষকরা যথাযথভাবে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার বিষয়টি দেখভাল করতে পেরেছেন। এ বছর নকলের দায়ে ৪০ জন শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছিল বলেও তিনি জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।