ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের ফের বিক্ষোভ, ৭ শিক্ষক অবরুদ্ধ

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০১৪
ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের ফের বিক্ষোভ, ৭ শিক্ষক অবরুদ্ধ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স প্রথম সেমিস্টারে বিভাগটির ‘ক’ ও ‘খ’ সেকশনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফল বৈষম্য হয়েছে- এমন অভিযোগ এনে এবং ফল পুনর্ম‍ূল্যায়ের দাবিতে আন্দোলন করছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন নুরুল আমিন বেপারিসহ সাত শিক্ষককে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।

বুধবার সকাল ১০টা থেকে শিক্ষার্থীরা সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের চতুর্থ তলায় অবস্থিত রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিভাগীয় অফিস ও চেয়ারপারসনের কক্ষ অবরোধ করে এ আন্দোলন শুরু করে এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন।

এর আগে, একই দাবিতে মঙ্গলবার বেলা ১টার পর থেকে আধা ঘণ্টাব্যাপী বিভাগের সামনে মার্কশিটের ফটোকপি পুড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় নোটিশ বোর্ড থেকে এক শিক্ষকের ইনকোর্স নম্বরের রেজাল্ট শিট পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

পরবর্তী সময়ে বিভাগের চেয়ারপারসন জানান, বুধবার একাডেমিক কমিটির মিটিংয়ে শিক্ষার্থীদের দাবির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

কিন্তু বুধবার সকালে একাডেমিক কমিটির বৈঠক হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে এর কোনো সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের জানানো হয়নি।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের সিদ্ধান্ত না জানালে তারা তাদের বিক্ষোভ অবস্থান তুলবেন না।

এদিকে চেয়ারপারসন নুরুল আমিন বেপারির কক্ষে গিয়ে দেখা যায় তিনি সহ সাতজন শিক্ষক তার রুমে অবস্থান করছেন। শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন আবেদা সুলতানা, রাশেদুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, ফরিদ উদদীন প্রমুখ।

শিক্ষকদের বের হতে বাধা দেওয়া হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তারা ‘হ্যাঁ’ সূচক উত্তর দেন।

একাডেমিক কমিটির মিটিংয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে চেয়ারপারসন নুরুল আমিন বেপারী বাংলানিউজকে বলেন, ‘ফল ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর তাতে সংশোধন বা পরিবর্তনের এখতিয়ার বিভাগের চেয়ারম্যান বা একাডেমিক কমিটির থাকে না। তবে উপাচার্য চাইলে যেকোনো কিছু করতে পারেন। তাই আমরা একাডেমি কমিটির পক্ষ থেকে উপাচার্য স্যারকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছি শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি বিবেচনার জন্য।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, গত ১২ মার্চ মাস্টার্সের প্রথম সেমিস্টারের ফল ঘোষণা করা হয়। ফলাফলে বিভাগের ‘ক’ ও ‘খ’ শাখার শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম বৈষম্য দেখা যায়। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ফরিদউদ্দিন আহমেদকে জানানো হয়েছে। কিন্তু ফল পুনর্মূল্যায়নের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

ডিন ও ভিসি বরাবর লিখিত আবেদনপত্রের ফটোকপিও এসময় প্রদর্শন করেন শিক্ষার্থীরা।

বিভাগীয় অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিভাগের ‘ক’ শাখার ৯৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮৪ জন জিপিএ-৩.৫০-এর বেশি নম্বর পেয়েছেন। অথচ একই পরীক্ষায় ‘খ’ শাখার ১৩৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ২৮ জন এ নম্বর পেয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।