ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধ করতে হবে

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০২ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০১৪
স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধ করতে হবে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে টিকিয়ে রাখার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তির সঙ্গে প্রয়োজনে সম্মুখ যুদ্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।

রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) অডিটোরিয়ামে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ৭১’  আয়োজিত ‘সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ বিরোধী জাতীয় সম্মেলনে’ মূল বক্তা হিসেবে তিনি এ মন্তব্য করেন।



ড. আনিসুজ্জামান বলেন, আমাদের দোদুল্যমানতার কারণে স্বাধীনতার চেতনাকে আমরা ফিরিয়ে আনতে পারছি না। ৭১’র পরাজিতরা ধর্মকে আলিঙ্গন করে মুক্তিযদ্ধের পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এদের মোকাবেলায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

সেক্টর কমান্ডার্স ফেরামের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার সভাপতির বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিরা নতুন করে সংঘবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রের অসাম্প্রদায়িক ভিত্তি ও বাঙালির হাজার বছরের অর্জিত সংস্কৃতি বিনষ্ট করতে চাইছে। একই সঙ্গে তারা গণতন্ত্র বিরোধী জঙ্গি কার্যক্রমে লিপ্ত হচ্ছে।

তিনি সরকারের কাছে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং এর আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নজরদারি করার আহ্বান জানান।

ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, ৭১-এ আমরা মুক্তিযুদ্ধের অস্ত্র জমা দিয়েছিলাম। তখন বলা হয়েছিল প্রয়োজন হলে আবার অস্ত্র দেওয়া হবে। তাহলে আজকে আমাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হোক। আমরা এই জঙ্গি সংগঠনকে বাংলার মাটি থেকে নির্মূল করে ছাড়বো।

শোলাকিয়া ঈদগাঁহ’র ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বলেন, শাখা-প্রশাখা কেটে লাভ নেই আগে মূল ধরতে হবে। জামায়াত-শিবিরের মূল যে জায়গাগুলো সেই জায়গায় হাত দিতে হবে। শুধু তাদের নিষিদ্ধ করলেই হবে না তাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও প্রকাশনাগুলোকেও নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
 
তিনি বলেন, দ্বি-জাতিতত্ত্বের মধ্যেই ছিল সাম্প্রদায়িকতার বীজ। এখান থেকেই সাম্প্রদায়িকতার চেতনার বিকাশ ঘটেছে।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মানবধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, বাংলাদেশ টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ম. হামিদ, সংগঠনের সহ-সভাপতি লে. কর্নেল আবু ওসমান চৌধুরী, সি আর দত্ত, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাখী দাস , মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক হারুন হাবিব প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।