ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

শিক্ষা হবে দারিদ্র্য জয়ের মূল কৌশল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৯ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৪
শিক্ষা হবে দারিদ্র্য জয়ের মূল কৌশল

সাভার (ঢাকা): নতুন প্রজন্ম হবে দারিদ্র্য জয়ের অগ্রসেনানী; শিক্ষা হবে দারিদ্র্য জয়ের মূল কৌশল।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাষ্ট্রপতি ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদের পক্ষে আশুলিয়ার দত্তপাড়ায় ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ কথা বলেন।



তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দশম সংসদের নির্বাচনী ইশতেহারে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছর ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য ঘোষণা করেছেন।

তিনি বলেন, দারিদ্র্য সেখানে সবচেয়ে বড় বাধা। তবে সেখানে শিক্ষা হবে দারিদ্র্য জয়ের মূল কৌশল। দেশ পরিচালনা ও অর্থনীতির হাল ধরার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক উচ্চ শিক্ষিত দক্ষ, যোগ্য সুনাগরিক গড়ে তোলার মাধ্যমে তৈরি করতে হবে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় প্রশিক্ষিত দক্ষ বিশাল কর্মী বাহিনী। তাদের আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে প্রস্তুত করতে হবে।

বাস্তবজীবনে মেধা ও জ্ঞান অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাজীবন শেষ হলে কর্মজীবন শুরু হয়। আর কর্মজীবনে অর্জিত শিক্ষা, ধ্যান-ধারণা বাস্তবে প্রয়োগের জন্য সৃজনশীলতা ও উদ্যোগের প্রয়োজন পড়ে।

তিনি বলেন, আজকের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সনদপ্রাপ্তরা আলোকিত মানুষ হিসেবে তাদের প্রজ্ঞা, জ্ঞান, দর্শন দিয়ে সাধারণ মানুষের প্রাণে সাহস যোগাবে; কর্মক্ষেত্রে ও সমাজে সূচিত করবে ইতিবাচক পরিবর্তন।

তিনি বৃহস্পতিবারের সমাবর্তন বক্তা অচ্যুত সামন্তের মতো আলোকিত মানুষ হওয়ার পরামর্শ দেন।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ নিজস্ব ক্যাম্পাসে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জ্ঞানচর্চা, গবেষণা ও নতুন নতুন বিষয় সংযুক্তি, শিক্ষাক্রম উন্নয়ন, শিক্ষাদানের পদ্ধতি যুগোপযোগী করতে হবে। তাই, যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনো তাদের নিজস্ব ক্যাম্পাস গড়ে তোলেনি, তাদের বিরুদ্ধে যথাসময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ জন্য তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ভর্তি ও টিউশন ফিসহ সব ব্যয় শিক্ষার্থীবান্ধব রাখার আহ্বান জানান ও বলেন, বাংলাদেশে অচ্যুত সামন্তের উপস্থিতি আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে।

এ সময় তার কাজ ও ব্যক্তিত্বের জন্য অচ্যুত সামন্তকে সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রি প্রদান করায় মন্ত্রী ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।

আয়োজিত অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত মানব হিতৈষী ও বিশ্বনন্দিত সমাজসেবক অচ্যুত সামন্ত তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৯২ সালে পাঁচ হাজার রুপি মূলধন দিয়ে মাত্র ১২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে আমি কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করি।

তিনি জানান, তার নিরলস চেষ্টায় তা এখন বিশ্বমানের একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নিয়েছে। সেখানে রাজ্যের নিম্নবর্ণের ৪০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে কেজি টু পিজি পড়ানো ও একশটিরও বেশি বিষয়ে ডিগ্রি দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য ২০১১ সালে টাইমস অব ইন্ডিয়া মি. সামন্তকে ‘আইকন অব ওডিশা’ নির্বাচন করে এবং ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হওয়ার রেকর্ডও মি. সামন্তর দখলে রয়েছে।  

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন- ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুবুল হক মজুমদার, মানবিক অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম গোলাম রহমান, বাণিজ্য অনুষদের ডিন প্রফেসর এম জাকির হোসেন প্রমুখ।

এবারের সমাবর্তনে বিভিন্ন অনুষদের ৩ হাজার ২৫২ জন ছাত্র-ছাত্রীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এ ছাড়া ১৫ জন গ্র্যাজুয়েটকে ফলাফলের ভিত্তিতে বিভিন্ন ক্যাটাগড়িতে স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।