ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

সান্ধ্যকোর্স বন্ধ করা যাবে না-রাবি উপাচার্য

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৭ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৪
সান্ধ্যকোর্স বন্ধ করা যাবে না-রাবি উপাচার্য

রাবি: রাবিতে সান্ধ্যকোর্স বন্ধ করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে বৃহস্পতিবার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়ে দেন তিনি।



উপাচার্য বলেন, যেখানে দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকোর্স চলছে, সেখানে আমরা এককভাবে এধারাকে বন্ধ করতে পারি না। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহ, অনুষদের সুপারিশের ভিত্তিতে একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সান্ধ্যকোর্সের বিষয়টি অনুমোদিত হয়েছে। তাই হঠাৎ করে এটি বন্ধ করা যাবে না।

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ১০ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার আগে ২ ফেব্রুয়ারির ঘটনা ও চলমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বক্তব্য তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্তের ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের কোনো অভিযোগ থাকলে এব্যাপারে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা হবে। বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। আরো আলোচনা করা হবে। ছাত্রদের দাবির ব্যাপারে প্রয়োজনে উন্মুক্ত বিতর্কের আয়োজন করা হবে।

তিনি বলেন, ২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংঘটিত সংঘর্ষ এবং ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখতে সিন্ডিকেট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটি দ্রুত তদন্ত রিপোর্ট পেশ করতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা না থাকায় তদন্ত কমিটি প্রয়োজনীয় অনেক তথ্য সংগ্রহ করতে পারছে না। সে কারণে তদন্ত কমিটির কাজ এখনও শেষ করা সম্ভব হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর তদন্ত কমিটির কার্যক্রম আরো বেগবান হবে এবং তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

২ ফেব্রুয়ারির ঘটনার সময় শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের অ্যাকশন ও ছাত্রলীগের অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তদন্ত পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের অ্যাকশনের ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়া যারা অস্ত্র ব্যবহার করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে বলা হয়েছে। ’

গত ২ ফেব্রুয়ারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের অবনতি হয়েছে স্বীকার করে তিনি বলেন, এর জন্য কোনো পক্ষকে দায়ী না করে সম্পর্ক উন্নয়নে সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে।

অযৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনের নামে ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত না করার পরমার্শ দেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সায়েন উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এন্তাজুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিন মাতিন, প্রক্টর অধ্যাপক তারিকুল হাসান, জনসংযোগ কর্মকর্তা অধ্যাপক ইলিয়াছ হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।