ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

‘বিতর্ক বিকাশ’-এর বিভাগীয় ফাইনাল অনুষ্ঠিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৪
‘বিতর্ক বিকাশ’-এর বিভাগীয় ফাইনাল অনুষ্ঠিত

ঢাকা: দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাজমান বৈষম্য কমিয়ে আনতে যেমন প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রয়োজন রয়েছে, তেমনি একইভাবে সমমানের ‘সবার জন্য শিক্ষা’ ব্যবস্থারও প্রচলন দরকার।  

শিক্ষা বৈষম্য কমিয়ে আনতে হলে শহর-গ্রাম এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একই ধরনের সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করতে হবে।



শুক্রবার রাজধানীর বসুন্ধরা সিটিতে  ব্র্যাক, এটিএন বাংলা ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘বিতর্ক বিকাশ প্রতিযোগিতা’র বিভাগীয় ফাইনাল অনুষ্ঠানে বক্তারা এ সব কথা বলেন।

প্রতিযোগিতায় ঢাকা বনাম সিলেট এবং রংপুর বনাম খুলনা বিভাগীয় ফাইনাল পর্যায়ের স্কুল অংশগ্রহণ করে।
‘যুক্তির আলোয় খুঁজি মানুষের মুক্তি’ স্লোগানে বছরব্যাপী আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় দেশের ২,৫৬০টি স্কুলের ১২,৮০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
 
এতে সাংস্কৃতিক ও টিভি ব্যক্তিত্ব মুস্তফা মনোয়ার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী ফেরদৌস আরা, ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. শহীদুল্লাহ মিয়া প্রমুখ।

মুস্তফা মনোয়ার বলেন, বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় প্রযুক্তি অবশ্যই সবার জন্য প্রয়োজন। কিন্তু হঠাৎ করে প্রয়োজন পড়লে ক্ষতি হয়। আমাদের অন্তরের মধ্যেও একটা প্রযুক্তি রয়েছে। সেই নিরিখে মানুষ কখনই যন্ত্রের গোলাম হবে না। সে নিজেকে প্রকাশ করবে মাত্র।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে পারলে সেটাই ভালো হতো। বিদেশি প্রযুক্তি ও সংস্কৃতির ওপর ভর করে কোনো জাতি এগিয়ে যেতে পারে না।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, দেশের সর্ব বৃহৎ এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ব্র্যাক সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের জন্য মেধার চর্চার এক বিরাট দ্বার উম্মোচন করেছে। এতে শহরের সুবিধাভোগী শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিতরাও তাদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ পাচ্ছে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা যত বেশি এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে, ততই তাদের মধ্যে আরো বেশি মেধা ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাবে। শ্রেণিকক্ষে পাঠগ্রহণের ক্ষেত্রেও তারা আরো বেশি দক্ষ এবং একনিষ্ঠ হয়ে উঠবে, যা থেকে লাভবান হবে মূলত পুরো দেশ।

প্রতিযোগিতায় থানা, উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে ধারাবাহিকভাবে বিজয়ী হয়ে আসা চারটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভাগীয় ফাইনাল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে ঢাকা বিভাগের কটিয়াদী পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় বনাম সিলেট বিভাগের চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং রংপুর বিভাগের কালীগঞ্জ কে.ইউ.পি. পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় বনাম খুলনা বিভাগের শহীদ নায়েক আব্দুল জব্বার মাধ্যমিক বিদ্যালয় একে অপরের মুখোমুখি হয়।

প্রতিযোগিতার বিষয় দুটি হচ্ছে- ‘প্রযুক্তির প্রসারই শিক্ষাক্ষেত্রের বৈষম্য দূরীকরণের প্রধান উপায়’ এবং ‘কর্মসংস্থানের অভাব  নয়, কর্মবিমুখতাই বেকার সমস্যার প্রধান কারণ। ’

প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন সাংবাদিক মাইনুল আলম, সাংবাদিক মাহমুদ হাফিজ, উন্নয়নকর্মী আসমা আক্তার।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।