ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

পাঠ্যপুস্তক উৎসবের জন্য প্রস্তুত সিলেট

আব্দুল্লাহ আল নোমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৩
পাঠ্যপুস্তক উৎসবের জন্য প্রস্তুত সিলেট

সিলেট: বিরোধীদলের অবরোধ কর্মসূচির মধ্যেই বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস উদযাপিত হবে। এ উৎসবের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা নতুন শ্রেণির বই হাতে পাবে।



এবারের পাঠ্যপুস্তক উৎসবের জন্য প্রস্তুত রয়েছে সিলেটসহ বিভাগের চার জেলা হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জের ৯ হাজার ১২৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

তবে বেশকিছু বিদ্যালয়ে এখনও শতভাগ বই পৌঁছেনি। কিছুদিনের মধ্যে ওই সব বই পৌঁছানো হবে বলে জানিয়েছে সিলেট বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র।

মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর উপ-পরিচালক আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সিলেট বিভাগের সবগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন বই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তবে সিলেট ও মৌলভীবাজার ছাড়া অন্য দুই জেলায় কিছু কিছু বই বাকি রয়েছে। পর্যায়ক্রমে তা পৌঁছে দেওয়া হবে। এতে বই উৎসবের জন্য কোনো সমস্যা হবে না।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানায়, এ বছর এনসিটিবি সিলেট বিভাগে ৮৪ লাখ ২০ হাজার ৮০৬টি বই বরাদ্দ দিয়েছে। বিভাগের ৯ হাজার ১২৪ স্কুলে বই বিতরণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে সিলেট জেলায় ২৮ লাখ ২১ হাজার ৫৪৭, সুনামগঞ্জে ২২ লাখ ১ হাজার ৪০২, হবিগঞ্জে ১৮ লাখ ৩৭ হাজার ৯২৯, মৌলভীবাজারে ১৫ লাখ ৫৯ হাজার ৯২৮টি বই বরাদ্দ দেওয়া হয়।

এদের মধ্যে সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার বরাদ্দ করা সব বই এসে পৌঁছেছে। অন্যদিকে সুনামগঞ্জে ২১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৮৫, হবিগঞ্জে ১৮ লাখ ৩৭ হাজার ৮০২টি বই পেয়েছে। বাকি বইগুলো শিগগিরই এসে পৌঁছুবে।

এদিকে, বরাদ্দ করা বই ছাড়াও বিভাগের চারটি জেলায় কিছু বই আলাদাভাবে রিজার্ভ রাখা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের কোনো উপজেলায় বইয়ের সংকট দেখা দিলে তাৎক্ষণিক সেই রিজার্ভ থেকে বই বিতরণ করা হবে।

রিজার্ভের জন্য সিলেট জেলায় ১ লাখ ৪১ হাজার ৭৩, সুনামগঞ্জে ১ লাখ ১০ হাজার ৩৮, হবিগঞ্জে ৯১ হাজার ৮৯৮, মৌলভীবাজারে ৭৮ হাজার বই বরাদ্দ দেওয়া হয়।

এদিকে সিলেট জেলার সবক’টি স্কুলে শতভাগ বই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানা গেছে। সূত্র আরও জানায়, জেলার ১২টি উপজেলায় ২ হাজার ৪০৮টি প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

এর মধ্যে সরকারি ১ হাজার ৩৮৫টি,  কিন্ডার গার্ডেন ৫১৭ টি, এনজিও সেন্টার ২৫২টি, এনজিও পূর্ণাঙ্গ বিদ্যালয় ১৩০টি, কমিউনিটি বিদ্যালয় ২১টি, উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩১টি, শিশু কল্যাণ ও পরীক্ষণ বিদ্যালয় ২টি এবং এবতেদায়ি  পর্যায়ে ৭০টি মাদ্রাসা রয়েছে।

বিভিন্ন ক্যাটাগরি এসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা রয়েছে ৫ লাখ ২০ হাজার ৪৪৫ জন। সেই অনুপাতে নতুন বইয়ের জন্য চাহিদাও তৈরি করে শিক্ষা অফিস।

চাহিদার বিপরীতে ২৮ লাখ ২১ হাজার ৫৪৭টি বই ও ইংরেজি ভার্সনের আরও ৩০ হাজার বই যথা সময়ে সিলেট পৌঁছে। ইতোমধ্যে এসব নতুন বই সিলেট জেলার প্রতিটি বিদ্যালয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়।

সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. হযরত আলী বাংলানিউজকে জানান, চাহিদা অনুযায়ী নতুন বই পাওয়ার ফলে কোনো সংকট তৈরি হয়নি। পহেলা জানুয়ারি ছুটি থাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে বই বিতরণ শুরু হবে।

ইতোমধ্যে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ভর্তির সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীর হাতে কিছু নতুন বই তুলে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

২০১০ সাল থেকেই প্রতি বছরের পহেলা জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হতো। তবে এবার পহেলা জানুয়ারি ছুটি থাকায় এ উৎসব একদিন পিছিয়ে ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার উদযাপন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৩
সম্পাদনা: তমাল আবদুল কাইয়ূম ও আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।