ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

সব সূচকে ভালো করেছে ছোটরা

ইসমাইল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৩
সব সূচকে ভালো করেছে ছোটরা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও এবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় সব সূচকে ভালো করেছে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। বছরজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও গত বছরের তুলনায় এবার পাস ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা বেড়েছে।



সোমবার দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নুরুল ইসলাম নাহিদ ফলাফলের সার্বিক তথ্য উপস্থাপন করেন।

এর আগে সকালে শিক্ষামন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে প্রাথমিক ও এবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন।

এবার প্রাথমিক সমাপনীতে ৯৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার ৯৬১ জন। আর এবতেদায়ীতে ৯৫ দশমিক ৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ২৫৩ শিক্ষার্থী।

গত বছর প্রাথমিক সমাপনীতে ৯৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং এবতেদায়ীতে ৯২ দশমিক ৪৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল।

এবার প্রাথমিক সমাপনীতে পাসের হার ১ শতাংশ পয়েন্টের বেশি এবং এবতেদায়ী সমাপনীতে পাসের হার বেড়েছে তিন শতাংশ পয়েন্টের বেশি।

গত বছর প্রাথমিক সমাপনীতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২ লাখ ৩৩ হাজার ১৪০ জন। আর এবতেদায়ীতে দুই হাজার ৯২০ জন পেয়েছিল জিপিএ-৫।

এবার প্রাথমিকে ৭৩ হাজার ৬০০টি স্কুল এবং এবতেদায়ীতে ৭ হাজার ২২৮টি মাদ্রাসার সব পরীক্ষার্থী পাস করেছে।

এবার প্রাথমিক ও এবতেদায়ী সমাপনীতে ২৯ লাখ ৫০ হাজার ১৯৩ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে প্রাথমিক সমাপনীতে ২৬ লাখ ৩৫ হাজার ৪০৬ এবং এবতেদায়ীতে তিন লাখ ১৪ হাজার ৭৮৭ জন পরীক্ষা দেয়। ইংরেজি মাধ্যমের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৪৫৭ জন।

গত ২০ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিক ও এবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও বিরোধী দলের হরতাল ও অবরোধের কারণে পরীক্ষা শেষ হয় ৬ ডিসেম্বর।

পরীক্ষা শেষ হওয়ার ২৪ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ হলো।

পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য ২০০৯ সাল থেকে সমন্বিত এই সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়। আর এবতেদায়ীতে এ পরীক্ষা শুরু হয় ২০১০ সালে।

শুরুর বছরে প্রাথমিকে পাসের হার ছিল ৮৮ দশমকি ৮৪ শতাংশ, আর এবতেদায়ীতে এই হার ছিল ৭৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।

পাঁচ বছরে প্রাথমিক সমাপনীতে পাসের হার বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ (৯.৭৪)। এবতেদয়ীতে চার বছরে এই হার বেড়েছে ২০ শতাংশ (২০.৫৪)।

muziburপরীক্ষা শুরুর পর থেকে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠে। এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি অনুসন্ধান চালিয়ে বাংলা এবং ইংরেজি বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ পায়।

ঢাকা, খুলনা, সাতক্ষীরা ও দিনাজপুর জেলায় ইংরেজিতে ৮০ শতাংশ এবং বাংলায় ৫০ শতাংশ প্রশ্নপত্রের মিল পাওয়া গেছে বলে ওই সময় জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।

ওই দু’টি পরীক্ষা বাতিল না করার কথা জানালেও শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ‘বিশেষ ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ফলাফল প্রকাশের সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় শিক্ষার্থীরা এবার ইংরেজিতে কম নম্বর পেয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বদলিসহ অন্যান্য বিভাগীয় ব্যবস্তা নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগের থেকে শিক্ষার্থীরা বেশি ভালো করেছে। কারণ কোনো শিক্ষক-অভিভাবক চান না কেউ ফেল করুক। মাত্র আড়াই শতাংশ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ায় নিজেকে লজ্জিতবোধ করেন শিক্ষামন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী আখতার হোসেন, অতিরিক্ত সচিব এস.এম আশরাফুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শ্যামল কান্তি ঘোষসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রাথমিকে পাসের হার ৯৮.৫৮, এবতেদায়িতে ৯৫.৮০
ঢাকা বোর্ডে সেরা মনিপুর স্কুল
মনিপুর স্কুল এবারও প্রথম
দেশসেরা ২০ বিদ্যালয়
‘কঠিন’ বিষয়েও ভালো ফল

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৩
সম্পদনা: আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।