ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

ঐচ্ছিক বিষয় ও অভিজ্ঞতায় ভালো ফল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৩
ঐচ্ছিক বিষয় ও অভিজ্ঞতায় ভালো ফল নুরুল ইসলাম নাহিদ / ছবি: (ফাইল ফটো: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম)

ঢাকা: বিরোধী দলীয় জোটের হরতাল-অবরোধসহ রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে পরীক্ষা দিয়েও জেএসসি-জেডিসিতে শিক্ষার্থীদের ভালো ফলের পেছনে ঐচ্ছিক বিষয় এবং অভিজ্ঞতাকে কারণ হিসেবে দেখছেন নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারের শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

রোববার অষ্টম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নিজের এ মূল্যায়ন তুলে ধরেন।


 
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত ৪ নভেম্বর থেকে সারা দেশে এই পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিরোধীদলের কর্মসূচির কারণে পেছানো হয়। হরতাল-অবরোধসহ ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়েছে।
 
তিনি বলেন, অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে আসা-যাওয়া করতে হয়েছে। নিষ্ঠুর পরিবেশে মানুষ ও পশুকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। একজন পরীক্ষার্থীও মারা গেছে। এর মধ্য দিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ভালো ফল করায় আমি শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানাই। শিক্ষকদেরও ধন্যবাদ জানাই।
 
এবার জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় মোট পাস করেছে ৮৯ দশমকি ৯৪ শতাংশ ছাত্রছাত্রী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ২০৮ জন শিক্ষার্থী।
 
উল্লেখ্য, মহাজোট সরকারের ক্ষমতাসীন ৫ বছরের শেষ বছরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজপথে সোচ্চার থাকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট।
 
এবছর হরতালে এসএসসিতে ৪১টি ও এইচএসসিতে ৩৭টি বিষয়ের পরীক্ষা পিছিয়ে যায়। হরতাল-অবরোধে ৬ দিনে জেএসসি ও জেডিসিতে ১৭টি বিষয়ের পরীক্ষা পিছিয়ে যায়। সর্বশেষ প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনীর ৬টি বিষয়ের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়।
 
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত এসএসসি এবং এইচএসসির অভিজ্ঞতা নিয়ে এবার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিক‍ূলতার মধ্যেও পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার সাহস সৃষ্টি করেছি। এতে ফলে প্রভাব পড়েছে।  
 
জেএসসি-জেডিসিতে এবার প্রথমবারের মতো ঐচ্ছিক বিষয় চালু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত নম্বর যোগ হয়েছে।
 
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ঐচ্ছিক বিষয় থেকে ৪০ নম্বরের অতিরিক্ত নম্বর যোগ হওয়ার প্রভাব পড়েছে, ফলে জিপিএ-৫ বেড়েছে।     
 
এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে নির্ধারিত সময়ে পাবলিক পরীক্ষা গ্রহণ, ফল প্রকাশ, নির্ধারিত তারিখে ক্লাস শুরু, বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই পৌঁছে দেয়ার মতো চ্যালেঞ্জিং কাজগুলো একটি সাধারণ নিয়মে পরিণত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
 
বিরোধী দলের রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে চলমান নৃসংশতা, হত্যাযজ্ঞ, পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংসসহ নানাবিধ কর্মসূচি আজ শিক্ষা ব্যবস্থাকে হুমকিতে ফেলে দিয়েছে। যারা চার কোটি শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে হরতাল করেছে তারা কখনও ক্ষমা পাবে না বলে দাবি করেন তিনি।
 
শিক্ষামন্ত্রী জানান, রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে কেন্দ্র হতে উত্তরপত্রসহ পরীক্ষার গোপনীয় কাগজপত্র বোর্ডে আনার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য র্বোডসমূহ পরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষকদের মধ্যে প্রতি শুক্রবার এবং রাতে উত্তরপত্র বিতরণ করে। পরীক্ষক, প্রধান পরীক্ষক, বোর্ডসমূহ, মাউশি এবং মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও অক্লান্ত পরিশ্রম করে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফল সঠিক সময়ে প্রকাশ করতে সমর্থ হয়েছে।
 
শিক্ষামন্ত্রী এজন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৩
সম্পাদনা: এম জে ফেরদৌস, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।