ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

প্রাথমিকে সিলেটে সেরা ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৩
প্রাথমিকে সিলেটে সেরা ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা

সিলেট: প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায়(পিএসসি) ৯৯ শতাংশ পাসের হারে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা এবার জেলায় সেরা উপজেলা হয়েছে এবং ৯২ দশমিক ৫০ শতাংশ পাসের হার নিয়ে জেলার সবশেষে রয়েছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা।

সোমবার প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা থেকে ২০১৩সালের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ১হাজার ৮৪২জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ১হাজার ৮২৪জন।

উপজেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০৮ জন।

এছাড়া উপজেলার মোট উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ গ্রেডে ৪৫৬ জন, এ মাইনাস গ্রেডে ৪৪৩ জন, বি গ্রেডে ৪৫৩ জন, সি গ্রেডে ৩৩৫ জন ও ডি গ্রেডে ২৯ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এছাড়া ১৮জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে।

অন্যদিকে পাসের হারের দিক দিয়ে সবচেয়ে শেষ স্থানে রয়েছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা। এ উপজেলার ২হাজার ৫১০জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২হাজার ৩২৪জন। উপজেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩১ জন।

এছাড়া ‘এ’ গ্রেডে ২৯৯ জন, এ মাইনাস গ্রেডে ৩৪৮ জন, বি গ্রেডে ৪৭৫ জন, সি গ্রেডে ৮৯২ জন ও ডি গ্রেডে ২৭৯ জন উত্তীর্ণ এবং ২৩৫জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য রয়েছে।

পাসের হারের দিক দিয়ে পর্যায়ক্রমে অন্য উপজেলাগুলো হচ্ছে- বালাগঞ্জ উপজেলার ৫হাজার ৫৯০জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫হাজার ৫১৫জন। উপজেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬৬ জন। পাসের হার ৯৮.৫০।

এ উপজেলার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘এ’ গ্রেডে ১১৩৭ জন, এ মাইনাস গ্রেডে ৯৯৪ জন, বি গ্রেডে ১১৩০ জন, সি গ্রেডে ১৭২৮ জন ও ডি গ্রেডে ৩৬০ জন উত্তীর্ণ এবং ৭৫জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য রয়েছে।

গোলাপগঞ্জ উপজেলা থেকে ৬হাজার ৬১৫জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৬হাজার ৪৭৯জন। উপজেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮৯ জন। পাসের হার ৯৮.১০।

এছাড়া উপজেলা থেকে ‘এ’ গ্রেডে ১৭৩৩ জন, এ মাইনাস গ্রেডে ১৫০০ জন, বি গ্রেডে ১৩৫৭ জন, সি গ্রেডে ১৪৬২ জন ও ডি গ্রেডে ২৩৮ জন উত্তীর্ণ এবং ১৩৬জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য রয়েছে।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা থেকে ৫হাজার ৫৯৫জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫হাজার ৩৯৭জন। উপজেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২৯ জন। পাসের হার ৯৭.১০।

এছাড়া উপজেলা থেকে ‘এ’ গ্রেডে ১৭০২ জন, এ মাইনাস গ্রেডে ১১৬৮ জন, বি গ্রেডে ১ হাজার ১৬১ জন, সি গ্রেডে ১০৪৫ জন ও ডি গ্রেডে ৯২ জন উত্তীর্ণ এবং ১৯৭জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য রয়েছে।

জকিগঞ্জ উপজেলা থেকে ৫হাজার ১৮৪জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫হাজার ৫জন। উপজেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭২ জন। পাসের হার ৯৬.৫০।

এছাড়া উপজেলা থেকে ‘এ’ গ্রেডে ৫৩৫ জন, এ মাইনাস গ্রেডে ৫৮৮ জন, বি গ্রেডে ৫৭৬ জন, সি গ্রেডে ২ হাজার ৪৪ জন ও ডি গ্রেডে ৮৯০ জন উত্তীর্ণ এবং ১৭৯জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য রয়েছে।

কানাইঘাট উপজেলা থেকে ৪হাজার ৬৮০জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪হাজার ৪৭৭জন। উপজেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৪ জন। পাসের হার ৯৬.১০।

এছাড়া উপজেলা থেকে ‘এ’ গ্রেডে ১১২৯ জন, এ মাইনাস গ্রেডে ৯৪৫ জন, বি গ্রেডে ১০৮৫ জন, সি গ্রেডে ১০৬ জন ও ডি গ্রেডে ১৪৮ জন উত্তীর্ণ এবং ২০৩জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য রয়েছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলা থেকে ৫হাজার ৩৭৯জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫হাজার ১৪৪জন। উপজেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১৪ জন। পাসের হার ৯৫.৯০।

এছাড়া উপজেলা থেকে ‘এ’ গ্রেডে ৯২৫ জন, এ মাইনাস গ্রেডে ৮৭৫ জন, বি গ্রেডে ১০৪৮ জন, সি গ্রেডে ১ হাজার ৬৬৪ জন ও ডি গ্রেডে ৫৪৮ জন উত্তীর্ণ এবং ২৩৫জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য রয়েছে।

বিয়ানীবাজার উপজেলা থেকে ৫হাজার ৪৩০জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫হাজার ২০৩জন। উপজেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১২ জন। পাসের হার ৯৬.১০।

এছাড়া উপজেলা থেকে ‘এ’ গ্রেডে ১ হাজার ৬২ জন, এ মাইনাস গ্রেডে ৮৮৯ জন, বি গ্রেডে ১০১৬ জন, সি গ্রেডে ১ হাজার ৫৮৩ জন ও ডি গ্রেডে ৫৪১ জন উত্তীর্ণ এবং ২২৭জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য রয়েছে।

জৈন্তাপুর উপজেলা থেকে ২হাজার ৩৬১জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২হাজার ২২৪জন। উপজেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭ জন। পাসের হার ৯৪.৫০।

এছাড়া উপজেলা থেকে ‘এ’ গ্রেডে ৪২২ জন, এ মাইনাস গ্রেডে ৪৬৭ জন, বি গ্রেডে ৫৫৭ জন, সি গ্রেডে ৬৩৯ জন ও ডি গ্রেডে ৯২ জন উত্তীর্ণ এবং ১৩৭জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য রয়েছে।

বিশ্বনাথ উপজেলা থেকে ৫হাজার ৪১৮জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫হাজার ১৩০জন। উপজেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮০ জন। পাসের হার ৯৪.৫০।

এছাড়া উপজেলা থেকে ‘এ’ গ্রেডে ১ হাজার ৬৪ জন, এ মাইনাস গ্রেডে ১ হাজার ২২ জন, বি গ্রেডে ১ হাজার ১৮৩ জন, সি গ্রেডে ১ হাজার ৪৬৯ জন ও ডি গ্রেডে ৩১২ জন উত্তীর্ণ এবং ২৮৮জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য রয়েছে।

সিলেট সদর উপজেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় সবচেয়ে বেশি ১৩হাজার ২২৯জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ১২হাজার ৪১২জন পাস করে। এখানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৪৪৯ জন। পাসের হার ৯৪.১০।

এছাড়া সদর এলাকার পরীক্ষার্থীর মধ্য থেকে ‘এ’ গ্রেডে ৩ হাজার ৯১৩ জন, এ মাইনাস গ্রেডে ১ হাজার ৯৭১ জন, বি গ্রেডে ২০০৯ জন, সি গ্রেডে ২হাজার ৫৫১ জন ও ডি গ্রেডে ৫১৯ জন উত্তীর্ণ এবং ৮১৯জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর, ২০১৩
সম্পাদনা: নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad