ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

রাজনৈতিক কাজে শিশুদের ব্যবহার নয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৩
রাজনৈতিক কাজে শিশুদের ব্যবহার নয়

ঢাকা: আমি রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিনীত অনুরোধ করবো, আপনাদের কাজে শিশুদের ব্যবহার বন্ধ করুন, এদের রেহাই দিন। বলছিলেন পিএসসিতে তৃতীয়বারের মতো প্রথম স্থান অধিকা‍রী মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফরহাদ হোসেন।



প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর সোমবার দুপুর দুইটায় বাংলানিউজের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন পিএসসিতে প্রথম স্থান অধিকারী স্কুলটির এই কর্ণধার।

নাশকতা চালানোর জন্য এখন শিশুদের দিয়ে বোমা বহন করানো হয়- গণমাধ্যমে এসব খবর দেখে নিজেকে ঠিক রাখতে পারছেন না বলে চিন্তিত হয়ে পড়েন এই শিক্ষক।

ফরহাদ হোসেন বলেন, কর্মসূচি দেওয়া হয় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য। আর আহত হয় কোমলমতি শিশুরা। আমি নিজেও একজন বাবা এসব মেনে নিতে আমার খুব কষ্ট হয়। বেশির ভাগ রাজনৈতিক নেতার সন্তান দেশের বাইরে লেখাপড়া করে। তাই দেশের অশান্ত পরিস্থিতি তাদের ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না।

মনিপুর স্কুলের ভালো ফল অব্যাহত রাখতে চলতি বছরের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা যথেষ্ট প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। হরতালে মনিপুর স্কুলে ক্লাস ফাইভের ছাত্রদের জন্য বিশেষ প্রোগ্রাম চলমান ছিলো। তবে এক্ষেত্রে অভিভাবকদের কথা না বললেই নয়। কারণ এতো ঝুঁকির মধ্যে তারাই আমাদের অনুপ্রেরণা দিয়েছে স্পেশাল প্রোগ্রাম পরীক্ষা চালু রাখার জন্য। লক্ষ্য থাকলে তা বাস্তবায়ন করা যায়।

ফরহাদ হোসেন বলেন, পিএসসিতে ভালো ফল শিক্ষার্থীরা যাতে জেএসসিতেও স্কুলের সম্মান সমুন্নত রাখতে পারে তাই তাদের জন্য বিশেষ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এখন সময় এসেছে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের রাজধানীর ছাত্রদের মতো গড়ে তোলার। আর নয়তো সুষম উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, দেশের সুষম উন্নয়নের জন্য সারা দেশের উন্নয়ন করতে হবে। আর এখনো প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে যেসব স্কুলে পাসের হাস কম আছে সেসব স্কুলে সরকার প্রশাসনের সমন্বয়ে উন্নয়ন কার্যক্রম চালাতে হবে। এক্ষেত্রে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। কেন ভাল ফল হচ্ছে না তা খুঁজে বের করে সমাধান করতে হবে। কারণ এখনো দেশের সিংহভাগ মানুষ গ্রামে থাকেন।

ফরহাদ হোসেন আরো বলেন, মনিপুর স্কুলের ধারাবাহিক ভালো ফলাফলের কারণে ভর্তির সময় প্রচুর চাপ থাকে স্কুলে। আমাদের নিয়ে আলোচনা করলে যেমন আমরা স্বাগতম জানাই ঠিক তেমনি সমালোচনা করলে তাও আমরা আমাদের নজরে রাখি। কারণ এতে আমাদের ভুলগুলো ধরে তা সমাধানের ব্যবস্থা করি।

চলতি বছর লটারির মাধ্যমে যারা সুযোগ পাবেন তারাই ভর্তি হতে পারবেন এই মনিপুর স্কুলে। তবে লটারিতে নাম উঠেছে কিন্তু ভর্তি হয় না এমন কিছু ঘটনা থাকে। তখন আমরা ওয়েটিং লিস্ট এ যারা এগিয়ে আছেন তাদের থেকেই শিক্ষার্থী নিয়ে ভর্তি কার্যক্রম সম্পূর্ণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৩
সম্পাদনা: অনিক তরফদার নিউজরুম এডিটর, সুকুমার সরকার, আউটপুট এডিটর কো-অর্ডিনেশন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।