ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

জেএসসি

চট্টগ্রামে বেড়েছে পাশের হার ও জিপিএ-৫

মো.মহিউদ্দিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১২
চট্টগ্রামে বেড়েছে পাশের হার ও জিপিএ-৫

চট্টগ্রাম: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এবার পাশ ও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এবার বোর্ডে পাশের হার ৭৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

গত বার এ হার ছিল ৭২ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

এবার মোট জিপিএ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ হাজার ৫৩১জন। গতবার এ সংখ্যা ছিল ২ হাজার ১৯১জন।

এ হিসেবে জেএসসিতে গতবারের তুলনায় এবার পাশের হার বেড়েছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে শূণ্য দশমিক ৮৮ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১২ চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কার্যালয়ে ২০১২ সালের জেএসসি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. পীযূষ দত্ত। এসময় বোর্ডের সচিব একেএম ফজলুল করিম চৌধুরী, উপ-সচিব মহাবুব হাসান, স্কুল পরিদর্শক কাজী নাজমিুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

পিযূষ দত্ত বলেন, ‌‌‌‌`এবার এ বোর্ডের পাসের হার ও জিপি্এ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। বোর্ডের সার্বিক ফলাফলে আমরা সস্তুষ্ট। ` 

এবার ছাত্রদের মধ্যে পাসের হার ৮১ দশমিক ৪১ শতাংশ; আর ছাত্রী পাশের হার ৭৫ দশমিক ৯১ শতাংশ। তবে গত বারের মতো এবারো জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে।

গত বছর ছাত্র পাশের হার ছিল ৭৬ দশমিক ৩২ শতাংশ; আর ছাত্রীদের মধ্যে ৬৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ। মোট ৩ হাজার ৫৩১ জনের জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে এক হাজার ৯০৮ ছাত্রীর বিপরিতে এক হাজার ৬২৩ ছাত্র জিপিএ পেয়েছে।


চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৮টি বিদ্যালয়ে এবার শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। গতবার এ ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫২টি। ২০১০ সালে এ সংখ্যা ছিল ৬৬।

তবে গতবারের মতো এবারো একজন পরীক্ষার্থীও পাস করেনি এমন কোনো বিদ্যালয় চট্টগ্রাম বোর্ডে নেই। ২০১০ সালে এ ধরণের বিদ্যালয় ছিল চারটি।

পাশ ও জিপিএ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে ড. পীযূষ দত্ত বলেন, ‌নিয়মিত তদারকির পাশাপাশি নিদিষ্ট সময়ে পাঠদান শুরু করায় এবারো সামগ্রিক ফলাফলের উন্নতি হয়েছে। `

`এবার চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার পাশাপাশি, কক্সবাজার এবং তিন পার্বত্য জেলায়ও পাশের হার বেড়েছে। `

পিযূষ দত্ত জানান, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধিনে এক হাজার ৮৬ স্কুল থেকে ১৯৩টি কেন্দ্রে এক লাখ ৩৩ হাজার ৪৭২ জন শিক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে এক লাখ ৪ হাজার  ৫৭৮ জন।

৫৯ হাজার ২৮৩জন ছাত্রের মধ্যে পাশ করেছে ৪৮ হাজার ২৬০ জন। আর ৭৪ হাজার ১৮৯ জন ছাত্রী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৫৬ হাজার ৩১৮ জন।

এবার চট্টগ্রাম মহানগরে পাশের হার ৮৫ দশমিক ১৭ শতাংশ। গতবার এ হার ছিল ৮১ দশমিক ৪৮শতাংশ। মহানগর বাদে চট্টগ্রাম জেলার পাশের হার ৭৫ দশমিক ৭৭ এবং মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলার পাশের হার ৭৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গতবার এ হার ছিল যথাক্রমে ৬৯ দশমিক ৩৭ ও ৭৩ দশমিক ২৭ শতাংশ।

কক্সবাজার জেলায় পাশের হার ৮০ দশমিক ৮০, বাঙ্গামাটিতে ৭৮ দশমিক ৪৯, খাগড়াছড়িতে ৭০ দশমিক ৩৫ ও বান্দরবানে ৭১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

গতবছর এসব জেলায় পাশের হার ছিল যথাক্রমে ৭৫ দশমিক ১০, ৭০ দশমিক ১১, ৬৬ দশমিক ৭০ ও ৬৩ দশমিক ৮০ শতাংশ।

সামগ্রিক ফলাফলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বোর্ডের সচিব ফজলুল হক বলেন,‌ পাঠদান পদ্ধতি, শৃজনশীল প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা গ্রহণের ফলে দিনদিন পাশের হার বাড়ছে। চট্টগ্রাম বোর্ডের ফলাফল নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট।
 
ভবিষ্যতে আরো ভালো ফলাফল করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১২
এমইউ/আরডিজি/টিসি 

 

 

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad