ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

জাবি পরিবারের বিজয় র‌্যালি

জাবি প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১২
জাবি পরিবারের বিজয় র‌্যালি

জাবি: মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধ অভিমুখে বিজয় ৠালি ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার সকাল ১১টায় শোভাযাত্রা ও বিজয় ৠালি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক হয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে শেষ হয়।



শোভাযাত্রা ও বিজয় ৠালিতে অংশ নিতে সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ, হল ও সমিতির সদস্য, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাংলাদেশের মানচিত্রসহ বিজয়ের বিভিন্ন আলপনা এঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে উপস্থিত হন।

শোভাযাত্রা ও বিজয় ৠালির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাসির উদ্দিন, রেজিস্টার আবু বকর সিদ্দিক, সিনেট সদস্য অধ্যাপক প্রীথ্বিলা নাজনীন নিলীমাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, হল, বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও সমিতির ব্যানারে প্রায় পাঁচ সহস্রাধিক ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী শোভাযাত্রা ও বিজয় ৠালিতে অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন গান, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবি, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়াসহ বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্লাকার্ড বহন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ৠালিতে অংশগ্রহণকারীদের মুক্তিযুদ্ধের গান গেয়ে শোনায়।

বিজয় ৠালি জাতীয় স্মৃতিসৌধে পৌঁছালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।

এ সময় উপাচার্য বলেন, “বঙ্গবন্ধুর ডাকে জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সেই সময়ে রাজাকার, আলবদর, আলশামসরা স্বাধীনতার বিরোধী ছিলেন। তারা আজও নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের ষড়যন্ত্রে আমরা জাতির পিতা, জাতীয় চার নেতাসহ অনেককে হারিয়েছি। ”

উপাচার্য বলেন, “জাতি স্বাধীনতা বিরোধীদের সব ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াবে। নতুন প্রজন্মকে এক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে হবে। অসাম্প্রদায়িক, শান্তিময় ও সম্প্রীতির দেশ গড়ার কাজে নতুন প্রজন্মকে দায়িত্ব নিতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে। ”

এরপর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন  করে দেশ গড়ার জন্য শপথ বাক্য পাঠ করা হয়। উপাচার্য সবাইকে শপথ বাক্য পাঠ করান।

শপথ বাক্যে বলা হয়, ‘‘যে মহান আদর্শ ও মূল্যবোধকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সৃষ্টি তা স্বপ্নে, চিন্তায়, বাক্যে ও কর্মে আজীবন ধারণ করবো। আমরা কর্ম ও সেবা দিয়ে বাংলাদেশকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করবো। ’’

বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘন্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১২
ওয়ালিউল্লাহ/  সম্পাদনা: জয়নাল আবেদীন, নিউজরুম এডিটর ও অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর- [email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।