ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

গভীর শ্রদ্ধায় রাবিতে উদযাপিত হচ্ছে বিজয় দিবস

জনাব আলী, রাবি প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১২
গভীর শ্রদ্ধায় রাবিতে উদযাপিত হচ্ছে বিজয় দিবস

রাবি: ১৬ ডিসেম্বর বাঙালির বিজয়ের দিন। বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়(রাবি)পরিবার ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।



প্রথম প্রহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এম. আবদুস সোবহান ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এসময় উপউপাচার্য প্রফেসর নূরুল্লাহসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।    

শহীদদের স্মরণে এ সময় এক মনিট নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, শহীদস্মৃতি সংগ্রহশালাসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এদিকে, বিজয় দিবসের ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসন ভবন, আবাসিক হল ও অন্যান্য ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

এদিন সকাল ৮টায় বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভেও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় ‘সাবাস বাংলাদেশ’ চত্বরে বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রাবি ইউনিট কমান্ড ও রাবি স্কুলের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।

কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান। এর পর সকাল ১০টায় শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা প্রাঙ্গণে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শুরু হয়।

প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান ও পুরস্কার বিতরণ করেন উপাচার্য পত্মী মনোয়ারা সোবহান।

একই সময়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রাবি ইউনিট কমান্ড, অফিসার সমিতি, সহায়ক কর্মচারী সমিতি, পরিবহন টেকনিক্যাল কর্মচারী সমিতি ও সাধারণ কর্মচারী ইউনিয়ন নিজ নিজ কার্যালয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে আলোচনা সভার আয়োজন করে।
 
সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়ামে প্রীতি ক্রিকেট ও বিকেল ৩টায় একই স্থানে প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া হ্যান্ডবল ও মিউজিক্যাল পিলো খেলারও আয়োজন রয়েছে দিবসের কর্মসূচিতে।
 
সর্বশেষে বাদ জোহর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরানখানি ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হবে। সন্ধ্যা ৬টায় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোকসজ্জার মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটবে।
 
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী গণহত্যা চালানোর পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর রমনার রেসকোর্স ময়দানে মুক্তিবাহিনী ও যুদ্ধে সক্রিয় সহায়তাকারী ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের যৌথ নেতৃত্বের কাছে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমীর আব্দুলাহ খান নিয়াজী। আর এর মধ্য দিয়েই বিশ্বের মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১২
সম্পাদনা: আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।