ঢাকা: রাজধানীর উত্তরায় দিয়াবাড়িতে প্রশিক্ষণরত যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে শিক্ষার্থীসহ ৩৩ জন নিহতের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১৩ আগস্ট) মাইলস্টোনের প্রতিষ্ঠাতা কর্নেল (অব.) নুরন নবী ও অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলম এক বিবৃতিতে নিহতদের প্রতি গভীর শোক ও পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
গত ২১ জুলাই দুপুরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ডিয়াবাড়ি ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়। এ দুর্ঘটনায় ২৭ শিক্ষার্থী, ২ শিক্ষক, ৩ অভিভাবক ও ১ আয়া প্রাণ হারান। আহত ৩৪ জন চিকিৎসাধীন।
৬ আগস্ট কলেজ এবং ১১ আগস্ট স্কুল শাখায় পাঠদান শুরু হয়েছে। চালু আছে নিয়মিত কাউন্সেলিং কার্যক্রম। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের শিক্ষার্থীদের নতুন ভবনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
১১ আগস্ট শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ওই দিন মাইলস্টোন প্রতিনিধিরা সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় সহায়তার আহ্বান জানান।
১২ আগস্ট মানববন্ধন করেন নিহতদের স্বজনরা। তাদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছে মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ। এ সময় ‘ভুয়া চিঠি’ ইস্যুতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, সেটি তাদের প্যাডে নয় এবং কর্তৃপক্ষের কোনো স্বাক্ষরও নেই।
মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্যাম্পাস নিরাপদ এবং যথাযথ অনুমোদন নিয়ে ভবন নির্মিত হয়েছে। গুজব ও অপপ্রচারে কান না দিতে সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।