ঢাকা, বুধবার, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, ০৯ জুলাই ২০২৫, ১৩ মহররম ১৪৪৭

শিক্ষা

বুয়েট শিক্ষার্থীদের দাবি

কোটা নয়, সহকারী প্রকৌশলী পদে পরীক্ষার মাধ্যমে আসতে হবে 

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:৫১, জুলাই ৮, ২০২৫
কোটা নয়, সহকারী প্রকৌশলী পদে পরীক্ষার মাধ্যমে আসতে হবে  সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা: প্রকৌশলী নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোটা বা অন্য নামে সমমান পদ তৈরি না করার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।  

তারা বলেছেন, এসব পদের জন্য ন্যূনতম বিসিএস ডিগ্রিধারী হতে হবে এবং অবশ্যই নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মধ্য দিয়ে আসতে হবে।

 

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শেষে সাংবাদিকদের তারা এ দাবি জানান।  

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ জড়ো হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। তারা ‘কোটা না মেধা; মেধা, মেধা’, ‘সিন্ডিকেটের কালো হাত, ভেঙে দাও’ স্লোগ্নান দেন।  

লিখিত বক্তব্যে তারা তারা জানান, বর্তমানে প্রকৌশলখাতে চরম বৈষম্য চলছে। নিয়ম বহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত পদোন্নতির কারণে বিএসসি প্রকৌশলীদের প্রবেশ পর্যায়ের পদ সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। নবম গ্রেডে সহকারী প্রকৌশলী পদে ডিপ্লোমাধারী উপসহকারী প্রকৌশলীরা নিয়মের বাইরে অভ্যন্তরীণ কোটার মাধ্যমে অতিরিক্ত পদোন্নতি পাচ্ছে। ফলে সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ পরীক্ষায় বিএসসি প্রকৌশলীদের প্রবেশ সংকুচিত হচ্ছে।  

তারা বলেন, এমনকি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরও তা বাতিল করে ডিপ্লোমাধারী উপসহকারী প্রকৌশলীকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠানে পদোন্নতির হার শূন্যপদের বিপরীতে ৩৩ শতাংশ উল্লেখ থাকলেও তা লঙ্ঘন করে ৪০ থেকে ১শ শতাংশ পর্যন্ত পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে। ফলে নবম গ্রেডে প্রকৃত প্রবেশ পর্যায়ের পদগুলো কমে যাচ্ছে এবং বিএসসি প্রকৌশলীদের প্রবেশাধিকার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যা সংবিধানের সুযোগ্যর সমতা নীতির পরিপন্থি।

তারা বলেন, ১০ গ্রেডে কেবল ডিপ্লোমাধারীরা আবেদন করতে পারেন। বাংলাদেশে ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক বিএনএফকিউ অনুসারে, ডিপ্লোমা ডিগ্রি লেবেল ছয়ের অন্তর্ভুক্ত; যেখানে বিএসসি লেবেল সাতের অন্তর্ভুক্ত। নিম্নতর লেবেলের ডিগ্রিধারী যেখানে আবেদন করতে পারেন, সেখানে উচ্চতর লেবেলর ডিগ্রিধারী আবেদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশগুলোতেও এমন নেই।

এ বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে তারা তিন দফা দাবি জানিয়েছেন, দাবিগুলো, ১. ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিতে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিধারী হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না । ২. টেকনিক্যাল ১০ম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের নিয়োগ পরীক্ষা ডিপ্লোমা ও বিএসসি ডিগ্রিধারী উভয়ের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। ৩. ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ব্যতীত প্রকৌশলী পদবি ব্যবহারকারীদের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। নন এক্রিডেট বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইইবি- IEB-BAETE এক্রিডিটেশনের আওতায় আনতে হবে।  

তারা বলেন, ২০১৩ সাল থেকে এ আন্দোলন শুরু হয়েছে। যারা ডিপ্লোমায় আছেন, তারা সে সময় একটি মব তৈরি করে তাদের এই দাবি আদায় করে নিয়েছেন।  

এফএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।