ঢাকা, বুধবার, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৮ মে ২০২৫, ০০ জিলহজ ১৪৪৬

শিক্ষা

কুয়েটে নেই উপাচার্য, আটকে আছে বেতন-বোনাস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:০০, মে ২৭, ২০২৫
কুয়েটে নেই উপাচার্য, আটকে আছে বেতন-বোনাস

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সঙ্কট ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। দীর্ঘদিন একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের সেশনজট আরও দীর্ঘ হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী ২২ মে শিক্ষকদের অনাস্থা ও আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করার পর থেকে কুয়েট কার্যত অচল।

নতুন উপাচার্য নিয়োগ না হওয়ায় কুয়েটের প্রায় ১১০০ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন, ভাতা এবং আসন্ন ঈদ-উল-আযহার উৎসব ভাতা বন্ধ রয়েছে। সমস্যায় পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শতাধিক স্বল্প বেতনের কর্মচারী। আউটসোর্সিংয়ের ৩০ জন নিরাপত্তাকর্মীরও এপ্রিল মাসের বেতন বাকি। উপাচার্যের স্বাক্ষর না থাকায় ৬০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজও বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) কুয়েটের এনার্জি সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহমুদুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, উপাচার্যশূন্য অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে চরম উদ্বেগে আছেন। সেশনজট, নিরাপত্তা, বেতন-বোনাস সব মিলিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের একাংশের চাপে উপাচার্য অপসারণের সিদ্ধান্তই আজকের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী।

তিনি আরও বলেন, দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার দুর্বল সমন্বয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে এ ধরনের সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। ইউজিসি পুনর্গঠন করে এটিকে শক্তিশালী, স্বচ্ছ ও যুগোপযোগী করা প্রয়োজন।

কুয়েটের প্রায় ৭ হাজার ৫৬৫ জন শিক্ষার্থী দীর্ঘ সেশনজটের আশঙ্কায় ক্লাসে ফিরতে চায়। শিক্ষক সমিতির নেতারাও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক একাডেমিক পরিবেশ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি তুলেছেন। তবে শিক্ষকদের দাবি, কুয়েটের সংকট সমাধানের জন্য একজন যোগ্য ও শিক্ষাবান্ধব উপাচার্য নিয়োগ দিতে হবে।

প্রসঙ্গত, ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা উপাচার্য, প্রোভিসি এবং ডিএসডাবলিউ-এর পদত্যাগের দাবি জানায়। আন্দোলনের মুখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২৫ এপ্রিল রাতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে অপসারণ করে। এরপর ১ মে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলীকে কুয়েটের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ৩ মে দায়িত্ব গ্রহণের পরও শিক্ষকদের অনাস্থা ও আন্দোলনের মুখে ২২ মে তিনি পদত্যাগ করেন।

এসআরএম/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।