ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

চান্দিনা মহিলা কলেজ: অনার্স ভর্তি নিয়ে বিপাকে শিক্ষার্থীরা

রনবীর ঘোষ কিংকর, চান্দিনা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১২
চান্দিনা মহিলা কলেজ: অনার্স ভর্তি নিয়ে বিপাকে শিক্ষার্থীরা

চান্দিনা (কুমিল্লা): কুমিল্লার চান্দিনায় মহিলা ডিগ্রি কলেজে অনার্স ভর্তি নিয়ে বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। কলেজ কর্তৃপক্ষ ৪টি বিষয়ে ভর্তির জন্য বিজ্ঞাপন দিলেও ইন্টারনেটের ওয়েব সাইডে আছে মাত্র ২টি বিষয়।

ফলে, কাঙ্খিত বিষয় না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।

২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষ থেকে চান্দিনা মহিলা ডিগ্রি কলেজে অনার্স শাখার অনুমতি নিয়ে অনার্সে ছাত্রী ভর্তি শুরু করেন কর্তৃপক্ষ। ২০১২ সালে এইচএসসি পরীক্ষায়  উত্তীর্ণ হওয়া ছাত্রীদের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি করতে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালায় এবং বিভিন্নস্থানে পোস্টার সাঁটানো থেকে শুরু করে ব্যানার ও লিফলেট বিতরণ করে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

ওই সাঁটানো পোস্টার, ব্যানার ও লিফলেটে হিসাব বিজ্ঞান, সমাজ কর্ম, ব্যবস্থাপনা ও রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে ভর্তি চলছে বলে লেখা হয়েছে। এমনকি কলেজ কর্তৃপক্ষও ৪টি বিষয়ে ভর্তির কথা শিক্ষার্থীদের জানাচ্ছেন।

অথচ ছাত্রীরা বিভিন্ন ইন্টারনেটের দোকানে গিয়ে ইন্টারনেটের আবেদন ফরমে চান্দিনা মহিলা ডিগ্রি কলেজের ওয়েব সাইডে দেখছেন হিসাব বিজ্ঞান ও সমাজ কর্ম বিষয় ছাড়া সেখানে আর কোনো বিষয় নেই। ফলে, কাঙ্খিত বিষয় না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন অনেকে।

চান্দিনা মহিলা ডিগ্রি কলেজে অনার্স ভর্তি ইচ্ছুক রিনি বাংলানিউজকে বলেন, “আমি পোস্টারে ভর্তি বিজ্ঞাপন দেখে  বৃহস্পতিবার কলেজে যাই। কলেজের অফিস কক্ষে থাকা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার পর তারা জানান, যে কোনো ইন্টারনেটের দোকান থেকে আবেদন করা যাবে। ”

তিনি আরও বলেন, “আমি সে অনুসারে চান্দিনা হাইস্কুল মার্কেটের একটি ইন্টারনেটের দোকানে আসার পর তারা আমার এইচএসসি ও এসএসসি রোল নম্বর দিয়ে সার্চ করে চান্দিনা মহিলা ডিগ্রি কলেজ ওয়েব সাইডে প্রবেশ করলে সেখানে মাত্র ২টি বিষয়ে দেওয়া আছে। ”

“পরবর্তীতে আমি অন্য একটি দোকানে গিয়েও একই অবস্থা দেখি। আমার পছন্দের বিষয় না পেয়ে আমি ওই কলেজ থেকে ফিরে আসি। ”

এ ব্যাপারে চান্দিনা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আইউব আলী’র মোবাইল ফোনে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে চান্দিনা মহিলা ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ নির্মল চন্দ্র দাস বাংলানিউজকে বলেন, “২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষ থেকে হিসাব বিজ্ঞান ও সমাজ কর্ম দুটি বিষয়ে অনার্স চালু করেছি। ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবস্থাপনা ও রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ের অনুমতি নিয়েছি। সেই সংশ্লিষ্ট একটি ড্রাফট জমা দেওয়া হয়নি। ”

রোববার ড্রাফটি বোর্ডে জমা দিলে ওই বিষয়গুলোও ইন্টারনেটের ওয়েব সাইডে আসবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১২
সম্পাদনা: প্রভাষ চৌধুরী, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।