ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা ৪ নভেম্বর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১২
জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা ৪ নভেম্বর

ঢাকা : জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় এবার ১৯ লাখ ৮ হাজার ৩৬৫ শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।



শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী ১০ লাখ ১১ হাজার ৫০৩ এবং ছাত্র ৮ লাখ ৯৬ হাজার ৮৬২। ছাত্রদের চেয়ে এবার এক লাখ ১৪ হাজার ৬৪১ জন বেশি ছাত্রী পরীক্ষা দেবে।

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আগামী ৪ নভেম্বর থেকে এই পরীক্ষা শুরু হচ্ছে, চলবে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। এবার দেশের ২৭ হাজার ৬৪২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দুই হাজার ২৫০টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষায় অংশ নেবে।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, গত বছরের চেয়ে এবার এ পরীক্ষায় ৪৭ হাজার ২৫২ জন শিক্ষার্থী বেড়েছে। গত বছর জেএসসি ও জেডিসিতে ১৮ লাখ ৬১ হাজার ১১৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।

এবার জেএসজিতে এক লাখ ৪৯ হাজার ৩৯২ জন এবং জেডিসিতে ২৩ হাজার ২৯২ জন অনিয়মিত পরীক্ষার্থী রয়েছে। এছাড়া জেএসসিতে এক লাখ ৩৬ হাজার ৭১১ জন এবং জেডিসিতে ২০ হাজার ৩০১ জন বিশেষ পরীক্ষার্থী (এক থেকে তিন বিষয়ে অকৃতকার্য) অংশ নেবে।

বিদেশের সাতটি কেন্দ্রের মধ্যে জেদ্দায় ১০৬ জন, রিয়াদে ১০৯, ত্রিপোলিতে আট, দোহায় ৭২, আবুধাবীতে ৩৯, দুবাইয়ে ১৮ এবং ৩৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে।

এছাড়া এবার প্রথমবারের মত মাসকাট এবং ওমানে ১০ জন করে পরীক্ষার্থী আবুধাবীর মাধ্যমে নিবন্ধন করে পরীক্ষায় অংশ নেবে বলে জানান মন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, বাংলা ২য় পত্র, ইংরেজি ১ম ও ২য় পত্র এবং গণিত ছাড়া সব বিষয়ের পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে হবে।

শ্রবণ প্রতিবন্ধীসহ অন্যান্য প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাড়াও অন্যান্য প্রতিবন্ধীর (যাদের হাত নেই বা হাত দিয়ে লিখতে পারে না) জন্য শ্রুতি লেখকের সুযোগ রাখা হয়েছে বলে জানান নাহিদ।

উল্লেখ্য, অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ২০১০ সাল থেকে জেএসসি এবং ২০১১ সাল থেকে জেডিসি পরীক্ষা শুরু হয়।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ছাড়া শিক্ষাসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নোমার-উর রশীদ, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ফাহিমা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময় : ১৪২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১২
এসএমএ/ সম্পাদনা : সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর, [email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad