ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

রামুর দুষ্কৃতকারীদের বিচার দাবি জাবি শিক্ষকদের

জাবি প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১২
রামুর দুষ্কৃতকারীদের বিচার দাবি জাবি শিক্ষকদের

জাবি: রামু, উখিয়া, টেকনাফ ও পটিয়ায় বৌদ্ধপল্লী ও মন্দিরে হামলার প্রতিবাদে ও দৃষ্কতকারীদের বিচারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষক সমিতি।

বুধবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে এই কর্মসূচি পালিত হয়।



মানববন্ধন শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বৌদ্ধপল্লী ও মন্দিরে হামলাকারীদের বিচার দাবি করে বলেন, রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থার দুর্বলতার কারণেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য দ্রুত এই ঘটনার সুষ্ট তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে।

সমাবেশে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শরিফ উদ্দিন বলেন, “সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখার স্বার্থে যত দ্রুত এ ঘটনার বিচার ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে। ”

ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এটিএম আতিকুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, “আমাদের নির্বাচিত উপাচার্য শিক্ষক সমিতির পূর্ব নির্ধারিত অনুষ্ঠানের না এসে এই সময়ে একটি সভার আয়োজন করেছেন। উপাচার্য ইচ্ছা করলেই সভাটি আধা ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে পারতেন। তাহলে হয়তো আমাদের অনেক শিক্ষকই এই মানববন্ধনে অংশ নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। রামু ঘটনার অনেক দিন পেরিয়ে গেছে কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো কর্মসূচি পালন করেনি। কিন্তু আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসুচির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এখন শিক্ষক সমিতি কর্মসূচি পালন করার পর উপাচার্য বৃহস্পতিবার কর্মসূচি দিয়েছেন। ”

তিনি আরো বলেন, “শুনেছি সে অনুষ্ঠানে অনেক জ্ঞানী ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। উপাচার্যের সে অনুষ্ঠান চেতনা থেকে আসেনি, এটি শুধু মিডিয়া কাভারেজ এর জন্য করা হচ্ছে। ”

অধ্যাপক ড. এটিএম আতিকুর রহমানের এই বক্তব্যে সঙ্গে একমত প্রকাশ করেন ফার্মেসি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার।

মানববন্ধনে উপাস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এ মামুন, কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহম্মদ কামরুল আহছান, অধ্যাপক ড. মো: আমিনুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক ড. সোমা মুমতাজ, সহকারী অধ্যাপক খো: লুৎফুল এলাহী প্রমুখ।

এছাড়া মানববন্ধন ও সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১২
সম্পাদনা: রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।