ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩২, ০৬ মে ২০২৫, ০৮ জিলকদ ১৪৪৬

শিক্ষা

কর্তৃপক্ষের ভুলে পরীক্ষা দেওয়া হলো না ১৬ পরীক্ষার্থীর 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:৪৪, জুন ৩০, ২০২৪
কর্তৃপক্ষের ভুলে পরীক্ষা দেওয়া হলো না ১৬ পরীক্ষার্থীর 

লালমনিরহাট: জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় কলেজ কর্তৃপক্ষের অবহেলায় উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) কারিগরি বিএম শাখার ১৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি।

রোববার (৩০ জুন) এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হলে প্রবেশপত্র না পাওয়ায় তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি।

১৬ জন পরীক্ষার্থী উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের শিয়ালখোওয়া সূর্যমুখী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের ছাত্র ছিলেন।

জানা গেছে, উপজেলার চরবলা ইউনিয়নে কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটাতে শিয়ালখোওয়া সূর্যমুখী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘদিন ধরে প্রতি বছর ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কারিগরি শিক্ষায় ব্যাপক সফলতা অর্জন করে আসছে। প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশে যথা সময়ে প্রতিষ্ঠানটির এইচএসসি প্রথম বর্ষের ১৬ জন পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ করেন।

পরে পরীক্ষার্থীরা যথা সময়ে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রবেশ পত্র সংগ্রহের জন্য গেলে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায় পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশ পত্র পৌঁছে দেওয়া হবে। এমন আশ্বাসে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো সহায়তা বা প্রবেশ পত্র পায়নি। ফলে ফরম পূরণ এবং প্রস্তুতি নিয়েও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। কেন্দ্রে পৌঁছে পরীক্ষা দিতে না পেয়ে হতাশা নিয়ে ফিরে গেছে ১৬ জন পরীক্ষার্থী।

পরীক্ষার্থী বিপুল চন্দ্র ও আবু হাসান লিমন জানান, পরিবারের কাছে টাকা নিয়ে কলেজে দিয়ে যথা সময়ে ও যথানিয়মে ফরম পূরণ করেন প্রথম বর্ষের ১৬ জন পরীক্ষার্থী। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল কেন্দ্রেই প্রবেশ পত্র পৌঁছে দেওয়া হবে। সেই আশায় কেন্দ্রে গিয়েও পরীক্ষা দিতে পারেননি তারা ১৬ জন পরীক্ষার্থী। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় তাদের জীবন থেকে হারিয়ে গেলো শিক্ষা জীবনের একটি বছর। এ বিষয়ে ন্যায় বিচার দাবি করেন তারা।

পরীক্ষার্থীর অভিভাবক বাবুল বলেন, সন্তানদের জীবন নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলে এমন শিক্ষক বা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া উচিত। তাদের অবহেলায় ১৬ জন পরীক্ষার্থীর জীবন থেকে হারিয়ে গেলো একটি বছর। তিনিও ন্যায় বিচার দাবি করেন।

শিয়ালখোওয়া সূর্যমুখী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক সুকুমার বলেন, ১৬ জন পরীক্ষার্থীর সবার ফরম পূরণ করা হয়েছিল। অনলাইন জটিলতা তাদের প্রবেশ পত্র পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে ঢাকায় কয়েক দফায় গিয়েও কোনো কাজ হয়নি। এর বাহিরের তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহির ইমাম বলেন, লোক মুখে বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।