ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস: উৎসব উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে ক্যাম্পাস

আবদুল আলীম ধ্রুব | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৯ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১০
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস: উৎসব উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে ক্যাম্পাস

ঢাকা: রঙিন শাড়ি পড়ে, মাথায় লাল কাপড় বেঁধে, হাতে-গালে লাল সবুজ রং মেখে, রাস্তায় নেমে বাদ্যের বাজনার তালে তালে নেচে গেয়ে উৎসবে মেতে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। নব্বই এ পা দেয়া বর্ষীয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীদের মাঝে বর্ষার বৃষ্টির অঝোর ধারার মতোই অঝোরে ঝরছে আনন্দধারা।

রঙিন সাজে সেজে, বাদ্য বাজিয়ে, ফুল ছিটিয়ে বরণ করে নেয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ২০১০।

সকাল বেলায় বিভিন্ন হল থেকে বাদক দলের বাজনার সাথে নেচে নেচে শিক্ষার্থীরা এসে সমবেত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনের মল চত্বরে। চারদিকে গাছপালা ছড়ানো মল চত্বরের ছায়াঘন পরিবেশে উৎসবে মেতে ওঠে শিক্ষার্থীরা।

সাড়ে নয়টায় পতাকা উত্তোলনের সময় হলে ক্ষণিকের মধ্যেই শান্ত হয়ে যায় সবাই। সেখানে ছিমছাম নিরবতায় জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আআমস আরেফিন সিদ্দিক। মঞ্চের সামনের অজস্র বুদ্ধিদীপ্ত চোখ একসাথে গেয়ে ওঠে  ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’ ।

বাতাসে রঙিন বেলুন ছেড়ে, আকাশে শান্তির পায়রা উড়িয়ে, কেক কেটে হবে অনুষ্ঠানের উদ্ভোধন। বাজনার তালে ও সুরের মূর্চ্ছনায় মেতে উঠেছে সবাই।

শামসুন্নাহার হলের শিক্ষার্থী সারা মোনামী হোসেন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘অসাধারণ অনুভূতি। কাল সারারাত হলে মরিচবাতি জ্বলেছে। রাতেও গান-বাজনা হয়েছে অনেক রুমে এবং বারান্দায়। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠেই নেমে এসেছি রাস্তায়। ’

জহুরুল হক হলের আবাসিক ছাত্র গালিব আশরাফ বলেন, ‘ভোর বেলা বাদক দল এসে হলের প্রত্যেকটি রুমের সামনে ব্যান্ড বাজিয়ে মহরা দিয়েছে কয়েকবার। এটা আমাদের হলের পুরাতন নিয়ম। আজকের দিনে ছেলে-মেয়ে একসাথে রাস্তায় নেমে আসে অথচ কোন দূর্ঘটনা ঘটে না। এটাই আজকের দিনের আলাদা বৈশিষ্ট্য। প্রতিটা দিন যদি এমন হতো!

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আআমস আরেফিন সিদ্দিক বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি কে বলেন, ‘আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। বিশ্ববিদ্যালয় নব্বই বছরে পা দিয়েছে। শতবর্ষ পালন করার আগেই আমরা যেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আধুনিক ও খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি সেজন্য সবাইকে নিজ নিজ জায়গায় থেকে কাজ করতে হবে।

দুপুরের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে থাকছে প্রীতি ফুটবল ও ভলিবল খেলার আয়োজন। টিএসসিতে আয়োজন করা হয়েছে বিতর্ক অনুষ্ঠান। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে ।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৪ ঘন্টা, জুলাই ০১, ২০১০.

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।